দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও গবেষণায় আগ্রহ এক রকম নয় বলে স্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানচর্চার জন্য নয়, জ্ঞান সৃষ্টির। সেই জ্ঞান সৃষ্টির উপায় হচ্ছে গবেষণা। তিনি বলেন, আমরা যত্রতত্র অনার্স খুলেছি। সেটি জনপ্রতিনিধিদের আগ্রহেই হয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীও অনার্স মানের নয়। শিক্ষকও হয়তো অনার্স মানের নন; কিন্তু আমরা খুলেছি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেহেরপুর বিল-২০২৩-এর সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা যেতে চান না। দেশে ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অতি সম্প্রতি স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন পর্যন্ত নিজেদের কোনো স্থান নেই। কাজই শুরু হয়নি। এর বাইরেও কিছু আছে একেবারে নতুন তৈরি হয়েছে। সেখানে শুধু উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ছাড়া অধ্যাপক পদমর্যাদার আর কেউ নেই।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাতের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো সরকারি বেতন স্কেলের আওতায় আনার এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কাঠামো সংগ্রহ করা হয়েছে।
জনমত যাচাইর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রবাসী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি করেন। তিনি বলেন, বছরে আমাদের আট থেকে ১০ লাখ লোক বিদেশে যায়। তাদের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা কী দিয়েছে? কিছুই করেনি। তাদের ভাষাও শেখায়নি। পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন জ্ঞান দেওয়া হয়নি। আমাদের প্রবাসী বিশ্ববিদ্যালয় দরকার। যেখানে প্রবাসীদের ছেলেমেয়েরা পড়বে এবং প্রবাসে গিয়ে কী করবে–তার দীক্ষা লাভ করবে।
পীর ফজলুর রহমান বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের সভাপতির পদ থেকে সংসদ সদস্যদের বাদ দিয়ে যে রায় দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে শিক্ষামন্ত্রী বারবার এ সংসদে বলেছিলেন। আপিল করবেন করবেন, শুনানি হবে হবে এটা শুনতে শুনতে এই সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।