কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর দারুল উলুম আশরাফিয়া মাদরাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মুফতি মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার আহত মাদরাসা ছাত্র বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শামীম হোসেনের পিতা আনোয়ার হোসেন বাদী হয় মতিউর রহমান ও তার সহযোগি মুফতি সাইফুল্লার নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গতকাল বুধবার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রুহুল আমিন।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই মাদরাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে সন্ধ্যায় উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত মতিউর রহমানের শাস্তির দাবিতে ওই মাদরাসা ঘেরাও করে।
নির্যাতনের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম শামীম হোসেন (১৫)। সে উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ শিংঝাড় গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও দারুল উলুম আশরাফিয়া মাদ্রাসার উর্দু ফার্সি কিতাবখানা বিভাগের ছাত্র।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকালে শামীম মোবাইলে ইসলামী বক্তাদের ওয়াজ দেখছিলো। মোবাইল দেখার অপরাধে মাদরাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মুফতি মতিউর রহমান তার আরেক সহযোগী মুফতি সাইফুল্লাহর উপস্থিতিতে শামীমকে বেধড়ক পিটুনি দেন। পিটুনিতে শামীমের শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মকভাবে জখম হয়। এরপর তিনি একটা সাদা স্ট্যাম্পে শামীমের স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করার ভয়ভীতি দেখান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. এএসএম সায়েম জানান, শামীম হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস বলেন, শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।