ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করা অভিযোগে বানাই স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.নুরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার ওই শিক্ষার্থীর বাবা সাবেক ইউপি সদস্য ও ব্যবসায়ী মো.শহীদুল ইসলাম তালুকদার বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাঠালিয়া থানার ওসিকে তা তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১১ মে শারীরিক অসুস্থতার জন্য ক্লাসে যেতে পারেনি দশম শ্রেণির মানবিক শাখার শিক্ষার্থী তানভির হোসেন তালুকদার (১৫)। এদিন ডাক্তার দেখাতে স্থানীয় বানাই বাজারে যায় ওই শিক্ষার্থী। চিকিৎসা নিয়ে দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে স্কুলের গেটে দেখা হয় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে।
সেখান থেকে ডেকে স্কুলের ভেতর নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে পেটান প্রধান শিক্ষক। মারধরের এক পর্যায় ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় শিক্ষার্থী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক তাকে টিসি দেবেন বলে মন্তব্য করেন। খুলনায় অবস্থানকালে বিষয়টি জানতে পারেন শিক্ষার্থীর বাবা শহীদুল ইসলাম। বাড়ি ফিরে গত ১৫ মে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যান তিনি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের কক্ষে বসেন, কয়েকজন অভিভাবক, প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্যরা শিক্ষকরা। বৈঠকে প্রধান শিক্ষক জানান, শিক্ষার্থী তানভির একটি বেয়াদব। শিক্ষার্থী এবং অভিভাকদের কোনো কথাই তিনি শুনতে রাজি হননি। এক পর্যায় সবার সামনে প্রধান শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চায় শিক্ষার্থী তানভির। বিষয়টি সেখানেই মিমাংসা হয়ে যায়। সবাই চলা যাওয়ার পর ওই শিক্ষার্থীকে রুমে ঢেকে স্কুল ড্রেস না পড়ায় পুনরায় মারধর করে প্রধান শিক্ষক। এদিন বিকেলেই আহত শিক্ষার্থীকে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনরা।জানতে চাইলে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.নুরুল ইসলাম খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শুনেছি আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ হয়েছে। মামলার খবর জানেন না তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মু.আনোয়ার আযিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ওই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মামলার বিষয় তার জানা নেই।
ভারতে প্রশিক্ষণে থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বানাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মো.মিজানুর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।