জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গানের অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চে উঠতে বাধা দেয়ায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ইতিহাস বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে সেলিম আল-দীন মুক্তমঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চারজনকে অভিযুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলো- সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯ তম ব্যাচের ইমাম মাহমুদ রিসান, শরিফুল ইসলাম সোহান ও মৃন্ময় দাস এবং একই বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের শাহরিয়ার শুভ। এদের মধ্যে শুভ শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক, মৃন্ময় সহ-সম্পাদক এবং সোহান নির্বাহী সদস্য। আর রিসান ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।
ভুক্তভোগী মামুনুর রশীদ ইতিহাস বিভাগের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি ওই অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন জাবি জোনের সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগপত্র ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সোয়া ১০ টায় ইতিহাস বিভাগের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ব্যান্ডদল ‘আর্টসেল’ সংগীত পরিবেশন করে মঞ্চ থেকে নামছিল। এই সময় অভিযুক্ত রিসান মঞ্চে উঠার চেষ্টা করলে মামুন বাধা দেন। এতে রিসান উত্তেজিত হয়ে মামুনের বুকে আঘাত করেন। মঞ্চের অন্য স্বেচ্ছাসেবকরা তখন এগিয়ে এসে প্রতিবাদ জানালে রিসানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শুভ, সোহান এবং মৃন্ময় সংঘবদ্ধভাবে মামুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করে।
এ বিষয়ে মামুন বলেন, অনুষ্ঠান শেষে সাউন্ড সিস্টেমের লোকেরা মঞ্চে ছিল। তাদের অনেক যন্ত্রপাতি ছিল। মঞ্চে কেউ উঠলে সাউন্ড সিস্টেমের লোকেদের সমস্যা হচ্ছিল বলেই আমি সেখানে উঠতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু আমাকে মারধর করা হয়।'
তবে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগপত্র পেয়েছি। আজকে একটি মেয়ে আরও গুরুতর অভিযোগ করেছেন। সেটাও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে। অভিযোগগুলো তদন্ত সাপেক্ষে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।