রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় আন্দোলনকারী অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আগারগাঁও মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকাল ১০টা থেকে আগারগাঁও মোড়ে অবস্থান নেয় রিকশাচালকরা। এ সময় তাদের অবস্থানের কারণে গাবতলী হয়ে পঙ্গু হাসপাতালের সড়কটি অবরুদ্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল এ সড়কের যান চলাচল। পরে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। অবরোধকারীদের সরে যেতে বলে শিক্ষার্থীরা। তখন দুপক্ষের তর্কবিতর্ক শুরু হয়। হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। চালকরা ক্ষীপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা করে। পরে শিক্ষার্থীরা পিছু হটে।
সকাল থেকে অটোরিকশা চালকদের অবরোধের কারণে সড়কে চলাচলকারী লোকজন বিপাকে পড়েন। বিশেষ করে ভোগান্তিতে পড়েন আগারগাঁও এলাকায় আসা বিভিন্ন হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা।
গত মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর আজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ শুরু করেন অটোরিকশা চালকরা। এতে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের, চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
মহাখালী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অবরোধের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের এডিসি জিয়া উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘রিকশাচালকরা প্রথমে কম ছিল। এখন বাড়ছে। হেঁটে তারা মহাখালী এলাকায় মিছিল করছে। আমরা বিষয়টি পুলিশের ক্রাইম বিভাগকে জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ট্রাফিক অ্যালার্ট গ্রুপে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন এই অবরোধের কারণে ভোগান্তিতে থাকা যাত্রীরা।
ওই গ্রুপে মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম নামে এক সদস্য ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, টেকনিক্যাল মোড়ে অটোরিকশা চালকরা চারদিকে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এতে মিরপুর-শ্যামলী-গাবতলী সবদিকে রাস্তা বন্ধ। রাস্তার চারদিকে হাজার হাজার গাড়ি টেকনিক্যাল মোড়ের সিগন্যালের সামনে অপেক্ষা করছে।