পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহারের ট্যাব বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে শিক্ষা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ওই বিদ্যালয়ের ট্যাব বিতরণ বন্ধ রাখা হয়। পরদিন হাজিরা খাতা এনে মেধাবীদের শনাক্ত করে ট্যাব বিতরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইন্দুরকানী উপজেলার ১২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যন ব্যুরোর জনশুমারিতে ব্যবহৃত ট্যাব নবম ও দশম শ্রেণির প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ৭২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হয়। কিন্তু ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম শিকদার নবম শ্রেণিতে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় রোলধারীদের বাদ দিয়ে ৫, ৬ ও ১৭ রোলধারীকে এবং দশম শ্রেণীতে ১, ৪ ও ১৫ রোলধারীর তালিকা জমা দেন। এ ব্যাপারে অভিভাবকরা অভিযোগ তোলেন।
পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রধান শিক্ষকের দেয়া তালিকা থেকে ওই বিদ্যালয়ের ট্যাব বিতরণ স্থগিত রাখেন। একদিন পরে মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির হাজিরা খাতা এনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানধারীদের শনাক্ত করে তাদের মাঝে ট্যাব বিতরণ করা হয়েছে।
ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম ইব্রাহিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এক, দুই ও তিন রোলধারীরা অনুপস্থিত থাকায় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্য থেকে মেধাবী যারা তাদের তালিকা দেয়া হয়েছে। পরে হাজিরা খাতা অনুযায়ী তালিকা সংশাধন করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর এ কে এম আবুল খায়ের দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ১২ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ভাবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেধানুসারে তালিকা না দেয়ার অভিযোগ পেয়ে তাদের ট্যাব বিতরণ স্থগিত রাখা হয়। একদিন পর তদন্ত করে প্রকৃত মেধাবীদের ট্যাব দেয়া হয়েছে।