ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের দিয়ে মাথার উঁকুন মারানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠা ওই শিক্ষিকার নাম শিউলি শারমিন।
তিনি উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, স্কুলের পাশেই শিক্ষিকা শিউলি শারমিনের বাড়ি। তাই তিনি ইচ্ছেমতো খামখেয়ালিভাবে চলেন। শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্কুল চলাকালীন সময়ে ক্লাস বাদ দিয়ে ছাত্রীদের দিয়ে মাথার উঁকুন মারান, হাত পা মেসেজ করানোসহ বাসাবাড়ির কাজ করিয়ে থাকেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এ ব্যাপারে স্কুলের সভাপতি গোলাম মাওলা বলেন, শিউলি শারমিন তিন বছর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে কর্তৃপক্ষ বা কারো অনুমতি না নিয়ে স্কুলের স্টিল আলমিরা, পুরাতন আসবাবপত্র, বই খাতাসহ অনেক সরঞ্জামাদি বিক্রি করে তিনি টাকা আত্মসাৎ করেন। সত্য কথা বলতে হয় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ঝগড়া লেগেই থাকেন কেউ কাউকে মানতে পারেন না। কারণ হচ্ছে প্রধান শিক্ষক আকলিমা বেগম তিনি বর্তমান চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয়, অন্যদিকে সহকারী শিক্ষিকা শিউলি শারমিন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয়।
এ বিষয়ে অভিযোগ ওঠা সহকারী শিক্ষিকা শিউলি শারমিন বলেন, মাঝেমধ্যে শরীর খারাপ থাকার জন্য স্কুলের এক ছাত্রী আমার ভাগ্নি হয় তাকে দিয়ে মাথার টিপিয়েছি। শরীর খারাপের জন্য একটু শুয়ে ছিলাম এজন্য আমার ও স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে হেট ম্যাডাম ভিডিও করে ছেড়ে দিয়েছে। তিনি গ্রামের দলগতভাবে আমার বিপক্ষ দলের লোক এজন্যই আমার পিছনে তিনি লেগেছে।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা আকলিমা বেগম জানান, শিউলি শারমিন তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও আমার নির্দেশনার তোয়াক্কা করেন না। তিনি স্কুল চলাকালীন সময় ছাত্রীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করান এবং ক্লাস বাদ দিয়ে লাইব্রেরিতে ঘুমিয়ে থাকেন এমন ঘটনা নতুন নয়, প্রায়ই করেন। অনেকবার সতর্ক করে দেওয়ার পরেও তিনি ইচ্ছামত চলেন। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে একই স্কুলে থেকে এভাবে তিনি তার ইচ্ছেমতো চলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন বলেন, শিউলি শারমিনের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের দিয়ে কাজ করানোর একটা ভিডিও দেখেছি, তার অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।