শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম!

দৈনিক শিক্ষাডটকম, চট্টগ্রাম |

শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গন। হলের আসন বরাদ্দ নিয়ে দ্বন্দ্বের পর চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিরাজ করছেন থমথমে অবস্থা। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছে উভয় পক্ষ।

ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিবেশ, হামলা ও ভাঙচুরের জন্য এক পক্ষ দুষছেন অপর পক্ষকে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আর লাঠিসোটা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো ক্যাম্পাস।

হলের আসন বরাদ্দ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের মারামারিতে ৫ জন আহতের পর থমথমে পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস। উত্তপ্ত চট্টগ্রামের রাজনীতিও। এমন বাস্তবতায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উভয় পক্ষ।

  

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। সমাবেশে তারা বলেন, ছাত্রদল এখন ছাত্রলীগকে নিয়ে মরিয়া হল দখলে। নিরীহ ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে তারা।

এ সময় ইবনে হোসাইন জিয়াদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস চাই। কোনো হানাহানি চাই না। কিন্তু একটি পক্ষ বহিরাগতদের এনে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। তাদের হুশিয়ার করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা ২৪ এর অর্জনকে কলঙ্কিত করবেন না। এই অর্জন আমরা সবাই মিলে এনেছি। এখন ছাত্রদল হল দখলের পায়তার করছে। তারা আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। সেই সুযোগ দেয়া হবে না।’

এদিকে, বিকেলে নগরীর লাভ লেইনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় আরেকটি অংশ। তাদের দাবি, হলে আধিপত্য বিস্তার করতেই ছাত্রাশিবির হলে হামলা চালিয়েছে।

সম্মেলনে পলিটেকনিকের ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. সাব্বির বলেন, ‘ছাত্রশিবির পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। তারা ছাত্রলীগকে সঙ্গে নিয়ে ফরম যাচাই-বাছাই করে সিট বরাদ্দ দিয়েছে। তারা সিট বরাদ্দ দেয়ার কে? আমরা নতুন করে বরাদ্দের দাবি করে অপরাধ করিনি। আমরা চাই সবাই শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের ক্যাপাসে থাকবে। ক্যাম্পাস সবার।’

গত ১০ নভেম্বর হলের ফরম বিতরণের পর ১৯ নভেম্বর ৩০০ জনের ফলাফল ঘোষণা হয়। সেই ফলাফল প্রত্যাহার করে আরেক পক্ষের নতুন করে প্রক্রিয়া শুরুর দাবি তোলার পর উত্তপ্ত হয় ক্যাম্পাস। এরপর থেকে হল ও শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান - dainik shiksha ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ - dainik shiksha সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002903938293457