শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে মাদরাসা সফর ও কবর জিয়ারত কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পূর্ব পাকিস্তানের দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ প্রয়াত ফখরে বাঙ্গাল তাজুল ইসলামের কবর জিয়ারতের কর্মসূচি ছিল মোকতাদির চৌধুরীর।
এ খবর জানতে পেরে সকালে কান্দিপাড়াস্থ জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তালাবন্ধ প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরীকে 'খুনি' আখ্যা দিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি আলী আজম মাদরাসার সামনে গিয়ে বাঁধার মুখে পড়ে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে চলে যান।
শিক্ষার্থীদের শ্লোগানের এক পর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত হওয়া কমিটির সদস্য কাছন মিয়া ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ ৮/১০ জন শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন এবং তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা এতে আরও জোরালোভাবে মিছিল শুরু করেন।
ওই মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানান, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে মাদরাসা ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রকাশ্যে নানা ধরণের সমালোচনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী। এ কারণে তারা মোকতাদির চৌধুরীর প্রতি সংক্ষুব্ধ।
জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি মুবারকুল্লাহ বলেন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে মার্চের ঘটনার পর থেকে সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী মাদরাসার শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় উস্কানিমূলক এবং আপত্তিকর কথাবার্তা বলে আসছেন। তিনি নিজের ভুল স্বীকার না করলে মাদরাসা শিক্ষার্থীদেরকে শান্ত করার কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ায় বড় হুজুরের কবর জিয়ারত কর্মসূচি বাতিল করেন সংসদ সদস্য।