দৈনিক শিক্ষাডটকম, মণিরামপুর (যশোর): শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জীবনকে গড়তে হলে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার দরকার হয়। ফলে মুখস্থ বিদ্যার পাশাপাশি বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে মণিরামপুর শহীদ মশিয়ুর রহমান অডিটোরিয়ামে কৃতি শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি ঢাকাস্থ মণিরামপুর সমিতির উদ্যোগে আয়োজন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, জীবনে শেখার কোনো শেষ নেই, প্রতিটা কাজকর্মের মধ্যে রয়েছে জ্ঞান-অভিজ্ঞতা। এক সময় আমাদের গ্রামাঞ্চলে কৃতি শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া যেতোনা। এমনিভাবে ডাক্তারের খুব আকাল ছিলো। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ভালো করছে।
এন আই খান আরো বলেন, মণিরামপুরের অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে প্রশাসন ক্যাডার, বড় ডাক্তার, ডক্টরেট ডিগ্রিধারী উচ্চপদস্থ চাকরিজীবীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০ মেধাবী শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করেছেন। যারা এ সরকারের ঘোষণা স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। আমি মণিরামপুরের সন্তান হিসেবে সব কৃতি শিক্ষার্থীসহ দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এস এম ইয়াকুব আলী। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভালো করে পড়াশোনা করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। শিক্ষা হতে হবে আদর্শ ভিত্তিক। লেখাপড়ার সঙ্গে উত্তম মন-মানসিকতা, দেশাত্মবোধক, দায়িত্ববোধ, মানবতাবোধ ও মানুষকে ভালোবাসার মতো গুণাবলী অর্জন করতে হবে। শুধু ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষও হতে হবে।
ঢাকাস্থ মণিরামপুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মণিরামপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম।
অন্যানোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ হালিম, মণিরামপুর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আফরোজা মাহমুদ, জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মাদ মুছা, মেধাবৃত্তির সদস্য সচিব আবুল হোসেন রাজু, সমিতির কোষাধ্যক্ষ কাজী হুমায়ুন কবীর, মণিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ লিটন প্রমুখ।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ঢাকাস্থ মণিরামপুর সমিতির পক্ষ থেকে উপজেলার ৭৫ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি হিসেবে শিক্ষার্থী প্রতি নগদ ৫ হাজার টাকা, একটি ক্রেস্ট ও একটি করে সনদ দেয়া হয়।