কুড়িগ্রামের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি করে কাঁঠাল গাছের চারা এবং একটি করে পরিবেশ বান্ধব কাগজের তৈরি কলম বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার রাজারহাট উপজেলার পাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পাঙ্গা রাণী লক্ষ্মীপ্রিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে একটি করে গাছের চারা বিতরণ করা হয়। পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ইকো, রিনিউ নাও এবং গ্লোবাল সিটিজেন্স ফর হিউমিনিটি যৌথভাবে এসব চারাগাছ বিতরণ করে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), গ্রিন ইকো এবং রিভারাইন পিপল ক্লাব, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখার যৌথ আয়োজনে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাগজের তৈরি কলম বিতরণ করা হয়।
এর আগে শিক্ষার্থীদের প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় গ্রিন ইকোর পরিচালক সঞ্জয় চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশ জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবের হুমকিতে আছে। প্রকৃতি ও পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে না পারলে টেকসই উন্নয়ন কোন ভাবেই সম্ভব নয়। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।
রাজশাহীর বেলা কার্যালয়ের সমম্বয়কারী তন্ময় সান্যাল বলেন, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে প্লাস্টিক দূষণ। ইতোমধ্যেই পৃথিবীর মাটি, পানি, বায়ুমণ্ডল, বন্যপ্রাণি, জীববৈচিত্র্য ও মানব স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এই প্লাস্টিক দূষণ। একবার ব্যবহার্য পলিথিন-প্লাস্টিকপণ্য পরিবেশ দূষণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে। তাই আমাদের প্লাস্টিকের বিকল্প খুঁজতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে।
পাঙ্গা রাণী লক্ষ্মী প্রিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোবাইত হাসনাত সোহান কাগজের কলম এবং গাছের চারা পেয়ে খুশি। তিনি বলেন, পরিবেশের সুরক্ষার মাধ্যমে আমরা আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
পাঙ্গা রাণী লক্ষ্মীপ্রিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক তুহিন পাটয়ারি বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ লক্ষ রাখবো গাছগুলোর প্রতি।
পাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সাধনা রাণী রায় বলেন, এরকম আযোজন আমাদের স্কুলে এর আগে হয়নি। আমরা অনুপ্রাণীত। আয়োজক সংগঠনগুলোকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।