প্রতিদিনই বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। তাদের মধ্যে আছে শিক্ষার্থীরাও। শিশু-কিশোর ও তরুণ সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের মাদকবিমুখ করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
সংস্থাটি বলছে, তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে শিক্ষকদের ‘মেন্টর’ হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের ৮টি বিভাগের ২ হাজার ৬০৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন করে শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের কুফল ও ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে মাদকবিরোধী পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এই কমিটির সভাপতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান। এ ছাড়া অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। দেশের ৩১ হাজার ১৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে ৩১ হাজার ৮০টিতে গঠন করা হয়েছে এই কমিটি। বাকি ৯৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও দ্রুতই কমিটি গঠন করবে ডিএনসি।
এই কমিটি স্কুলের সব শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবককে মাদকের বিষয়ে সচেতন করবে এবং সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। কমিটি প্রতি মাসে সভা করবে। পাশাপাশি মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানাতে প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় সপ্তাহে আলোচনা সভা, বিতর্ক, র্যালি, ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। এসব আয়োজনে সহযোগিতা দেবে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দে মাদকবিরোধী প্রচারে মেন্টর হিসেবে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৪৯ জন। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৫৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। শিক্ষকদের যুক্ত করার বিষয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (নিরোধ) মো. মনজুরুল ইসলাম বলেন, শিশু-কিশোরেরা শিক্ষকদের কাছ থেকেই জীবনের শুরুর শিক্ষা পায়। তাই পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষক তাঁর শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরবেন। এ জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের মাঝে খাতা-কলমও বিতরণ করা হবে। এসব শিক্ষা উপকরণে মাদকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময়েও তাঁদের নজরে পড়ে।