গতানুগতিক প্রশ্নপদ্ধতির বাইরে গিয়ে করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একটি মিডটার্ম প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্নপত্রটিতে ক্লাসে পড়ানো বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদেরই তিনটি প্রশ্ন তৈরি করতে বলা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের নিজেদের তৈরি করা প্রশ্ন থেকেই একটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে বলা হয়েছে।
এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন অ্যান্ড হিউম্যানিট্রিয়ান ল ইন ইসলাম’ কোর্সের প্রথম মিডটার্মের প্রশ্ন ছিলো। প্রশ্নের বিষয় ছিলো ‘ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস্’।
প্রশ্নপত্রে বলা হয়, ১. মনে কর, তুমি জবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৪২০৬ নম্বর কোর্সের কোর্স শিক্ষক। ক্লাসে পড়ানো বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে তুমি নিজেই প্রশ্নপত্রের ন্যায় তিনটি প্রশ্ন তৈরি করো। ২. তোমার তৈরিকৃত প্রশ্নগুলোর যে কোনো একটির উত্তর দাও।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্রটি ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাধুবাদ জানান। এ ধরনের প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বিষয় চিন্তা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।
প্রশ্নপত্রের প্রশংসা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী হাসনাত বলেন, এমন প্রশ্ন অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। আমরাও এমন টপিক্সের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট করেছি। গতানুগতিক চিন্তাধারার বাইরে শিক্ষার্থীদের ভিন্নভাবে ভাবার সুযোগ হয়।
এ বিষয়ে কোর্সটির শিক্ষক ড. আবু তৈয়ব মো. নাজমুছ ছাকিব ভূঁইয়া বলেন, গৎবাঁধা নিয়মের প্রশ্নে সাধারণত সৃজনশীলতার অভাব থাকে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রশ্নের মান কিছুটা ইউনিক হবে এটাই স্বাভাবিক। যদিও অনেক ক্ষেত্রে তা অনুপস্থিত। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে দিন-দিন নতুন কিছু শেখার আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও যেনো শিক্ষার্থীরা ভিন্নভাবে চিন্তা করে ও তাদের মাঝে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে—এমন চিন্তা থেকেই প্রশ্নটি করা। এতে করে শিক্ষার্থীরা বিগত খ্রিষ্টাব্দের প্রশ্নমুখী না হয়ে বইমুখী হবে বলে আমার বিশ্বাস।