ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে একই কলেজের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আজ দুপুরে কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান নিয়োগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের মনোনীত ব্যক্তিকে কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ, কলেজের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও অনিয়ম-দূর্নিতীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে তাদেরকে মৌখিক ও শারিরীক হেনস্তা করেন কলেজের শিক্ষকেরা। অভিযুক্ত শিক্ষকেরা হলেন- মো: সেলিম হোসেন, আমির হোসেন, রাজিয়া সুলতানা, সরওয়ার আজাদ, শাহিনুল আলম, নাজমুল হক, খন্ডকালীন শিক্ষক শাফায়েত সহ আরো অনেকে।
এ বিষয়ে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিহা বলেন, আমরা কলেজের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় দুর্নীতিবাজ শিক্ষকেরা বিভিন্ন সময় আমাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন। এদের মধ্যে সেলিম হোসেন অন্যতম। তার ইন্ধনে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন তার ভাইয়ের বউ মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রুনি আক্তার বলেন, সেলিম স্যার শিক্ষার্থীদের জোর করতেন তার কাছে কোচিং করতে এবং তার বিরুদ্ধে কোন কথা বললে নানাভাবে হুমকি দিয়ে থাকেন। আমরা কলেজের সকল প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি দূর করতে চাই বৈষম্যবিরোধী ক্যাম্পাস গড়তে চাই তাতে যদি আমাদের জীবন দিতে হয় তাতেও রাজি।
ছাত্রীদের ব্যানার ছিড়ে ফেলার বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সেলিম হোসেন বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পূর্ণ আচরণ করেছি।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম সাইফুদ্দিন বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে কলেজে যেতে পারিনি। তবে বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু কলেজে এখন গভর্নিং বডি নেই। সেজন্য শিক্ষার্থীরা হয়তো চাচ্ছে যে দ্রুত চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হোক। ওরা উপাচার্যের কাছেও যেতে চায়। আরেক পক্ষ হয়তো এটা চায় না। এজন্য এমন ঘটনা ঘটতে পারে।