শিক্ষার্থীরা কি পকেটে করোনাভাইরাস নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবেন?

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

সোয়া বছর হতে চলল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, স্কুল-কলেজ বন্ধ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের মুনাফা অর্জনের গতিশীলতা ধরে রাখতে নামকাওয়াস্তের অনলাইন ক্লাস নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার দাবি করছে।

কারণ, এসব বিশ্ববিদ্যালয় এক সেমিস্টার শেষ করে আরেক সেমিস্টারে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে না পারলে মুনাফা অর্জন করবে কীভাবে? সে কারণে লেখাপড়া বা ক্লাস যেভাবেই হোক না কেন, শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে তাদের আরেক সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করে এরা মুনাফা অর্জন অব্যাহত রাখছে। শুক্রবার (৪ জুন) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত উপসম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা যায়। 

উপসম্পাদকীয়তে আরও জানা যায়, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে প্রায় বছরখানেক পার হলেও উচ্চবাচ্য করেননি। কিন্তু অতি সম্প্রতি তাদের কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি করছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। যখন তারা দেখছেন যে অন্য সব প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হয়েছে, তখন তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের পর থেকে দেশের বিভিন্ন বিভাগ এবং জেলায় জেলায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য মানববন্ধন করে দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার সেসব বিষয় আমলে নেননি।

সরকারের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণের কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার কথা বলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার যুক্তি গ্রহণ করা যায়। তবে সরকারের কাছে তো কেবল শিক্ষার্থী নয়, দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনই মূল্যবান।

প্রতিটি নাগরিকের জীবন রক্ষা করা সরকারের প্রধান দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালনে সরকার কতটা সফল পলিসি গ্রহণ করেছে? সরকার লকডাউনের নামে যে কর্মসূচি গ্রহণ করে তা দফায় দফায় বাড়িয়ে চলেছে, তা কি কখনো ফলপ্রসূ হয়েছে? হবেই বা কীভাবে?

দরিদ্র মানুষ, দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, ফেরিওয়ালা ইত্যাদি শ্রেণির নাগরিকরা কি কখনো লকডাউন মেনেছেন, নাকি মানতে পারবেন? তাদের লকডাউন মানাতে হলে তো আগে তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে হবে।

এমন কাজ কি প্রতিটি লকডাউন ঘোষণার আগে নিশ্চিত করা গেছে? সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজের ত্রাণসাগ্রী অপ্রতুল ও দলীয়ভাবে বিতরণ করা হয়েছে। আর সেখানেও হয়েছে ব্যাপক দুর্নীতি। অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত দুস্থরা ত্রাণসামগ্রী পাননি।

করোনার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হচ্ছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কারণ, এদের বড় অংশই মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং অসচ্ছল প্রান্তিক পরিবার থেকে আগত। অনেকেরই ল্যাপটপ বা অ্যানড্রয়েড ফোন নেই। কাজেই দু-চারজন জুনিয়র শিক্ষক ভার্চুয়াল ক্লাস নিলেও এদের অনেকেই ক্লাস করতে পারছেন না। আর যারা ক্লাস করতে পারছেন, তারাও প্রকৃত ক্লাসের স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন কি? শিক্ষকের সঙ্গে তাদের আই কন্টাক্ট হচ্ছে না। দেখতে পাচ্ছেন না শিক্ষকের শারীরিক ভাষা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা তো কেবল কয়েকটি বই এবং লেকচার থেকে আহরিত পুঁথিগত বিদ্যার্জন নয়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে শিক্ষার্থীরা ল্যাব ও লাইব্রেরি ওয়ার্ক করতে পারতেন। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ করে অনেক কিছু শিখতে পারতেন।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডাবাজি করে শিখতে পারতেন অনেক কিছু। এভাবে শিক্ষার্থীরা উন্নত করতে পারতেন তাদের মানসিক শিক্ষা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রেখে কেবল ভার্চুয়াল লেকচারের মধ্য দিয়ে সার্টিফিকেট অর্জন সম্ভব হলেও প্রকৃত জ্ঞানার্জন করা সম্ভব হয় না।

কাজেই এসব দিক বিবেচনা করে সরকার যখন সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়, তখন কেবল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার পেছনে যে তাদের অন্য উদ্দেশ্য আছে তা বুঝতে কারও বাকি থাকে না।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে একেকবার একেক রকম বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে, শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। আবার কখনো বলা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মে মাসের ২৬ তারিখে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকাদান নিশ্চিত করেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, মন্ত্রী মহোদয়া সোয়া বছর পর এ কথা বললেন কেন? এ কথা আরও আগে বলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যবস্থা করেননি কেন?

টিকা শেষ হয়ে যাওয়ার পর মন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রদানের রহস্য কী? তিনি তো বলতে পারেননি কোথা থেকে টিকা এনে কত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদান সম্পন্ন করতে পারবেন। তিনি বলতে পারেননি কবে নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারবেন। এমনটি না বলতে পারায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বুঝতে পেরেছেন যে, সহজে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ইচ্ছা সরকারের নেই। এ ব্যাপারে সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা কাজ করছে।

২৬ মে শিক্ষামন্ত্রী ১৩ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় না খুলে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এর তিন দিন পর ৩০ মে বলেন, ‘দেশের করোনা পরিস্থিতি অনুকূল না থাকলে ১৩ জুন স্কুল-কলেজ খোলা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্কুলে এলে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।’ এখন স্কুলে যাওয়ার জন্য উন্মুখ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা কোন মন্ত্রীর কথা শুনবেন?

মন্ত্রীর এ বক্তব্য শুনে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বিস্ময় প্রকাশ করেন। তারা তাকে জিজ্ঞেস করতে চান, পোশাকশিল্পে লাখো শ্রমিক কাজ করলে, অন্যান্য অফিস আদালতে মানুষের ভিড় বাড়লে সেখানে কি করোনা সংক্রমণ বাড়বে না? বাড়বে কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে? এর কারণ কী? শিক্ষার্থীরা কি পকেটে করে করোনাভাইরাস নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবেন? নাকি করোনার সব ঢেউ অন্যত্র ঘোরাঘুরি অপছন্দ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের আগমনের অপেক্ষা করছে?

শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় ১৩ জুন থেকে টিকা না দিয়েই স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে অনেকের কাছে মনে হচ্ছে, সরকারের কাছে হয়তো স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যের চেয়ে কম।

তা না হলে তাদের বেলায় টিকাদান নিশ্চিত করার কথা বলা হচ্ছে না কেন? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে মন্ত্রী মহোদয়দের স্ববিরোধী নীতি দেখে অনেকেরই শৈশবে পড়া সুকুমার রায়ের ‘বিষম চিন্তা’ শীর্ষক কবিতাটির প্রথম লাইন বারবার মনে পড়ছে : ‘মাথায় কত প্রশ্ন আসে দিচ্ছে না কেউ জবাব তার...।’ নাগরিক সমাজে প্রশ্ন উঠেছে, ব্যাংক, আদালত এবং অন্যান্য অফিস কি টিকাদান নিশ্চিত করে খোলা হয়েছে?

বিশ্ববিদ্যালয় না খোলার কারণে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক চর্চা স্থবির হয়ে পড়েছে। অসচ্ছল নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের নারী শিক্ষার্থীদের অনেকেরই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। সার্বিকভাবে সব শিক্ষার্থী চাকরির বয়স হারাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের আশা ও স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে গেছে। তারা চরম হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। বেশি হতাশাগ্রস্ত অনেক শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন। এর ফলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে দু-একজন শিক্ষার্থীর আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার খবরও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অচিরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে অলসতা ও হতাশায় নিমজ্জিত হওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ধারা বাড়বে বলে অপরাধবিজ্ঞানীরা মনে করেন। যদি বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে আরও অনেক দেরি হয়, তাহলে অধিকসংখ্যক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন। সরকারের উচিত অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে ধোঁয়াশা সৃষ্টি না করে একটি সুস্পষ্ট পথনকশা ঘোষণা করা। এ কাজটি করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা কেটে গিয়ে আশার আলো দেখা দেবে এবং তারা আবারও ক্যাম্পাসে ফিরে ক্লাস পরীক্ষায় মনোযোগী হওয়ার স্বপ্ন দেখবেন।

সরকার যদি সত্যিই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাঙ্গন খুলে দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে সচল করতে চায়, তাহলে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে আগে তাদের খুলতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যে সবচেয়ে বেশি সচেতন তা না বললেও চলে। তারা বয়সের দিক থেকেও স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের চেয়ে বড়। অথচ এ সচেতন ও বয়স্ক শিক্ষার্থীদের বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রেখে তুলনামূলকভাবে কম বয়স্ক এবং কম সচেতন স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের বিদ্যাপীঠ খুলে দেওয়ার পেছনে রাজনীতি কাজ করছে কিনা তা বুঝতে রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়া লাগে না। সাধারণ মানুষ জানেন, বড় চারটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত। কাজেই এরা তো এদের বিশ্ববিদ্যালয় কখন খুলবে বা খুলবে না সে সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিল করে এককভাবে নেওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু এরা নামেই স্বায়ত্তশাসিত। বাস্তবতা হলো, এরা সরকারের অঘোষিত নির্দেশনায় কাজ করছে। ইউজিসিও এ ব্যাপারে ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা না খোলার ব্যাপারটি এখন সরকারি ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার চেয়ে এ ক্ষেত্রে সরকারের কাছে এর রাজনৈতিক লাভ-লোকসানের অঙ্কই প্রাধান্য পাচ্ছে বলে বিজ্ঞজনদের অনেকে মনে করছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে দৃশ্যমান সরকারি টালবাহানা ও মন্ত্রীদের সমন্বয়হীন বক্তব্য শুনে শিক্ষার্থীরা খুবই বিরক্ত হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে সরকার আরও গড়িমসি ও টালবাহানা করলে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি মানববন্ধনে সীমায়িত না থেকে অন্যরকম কঠোর কর্মসূচিতে রূপান্তরিত হতে পারে। আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন কর্মসূচি ঘোষিত হলে তা অতীতের কোটা সংস্কার বা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মতো দল-মত নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর সমর্থন পাবে বলে মনে করা যায়।

লেখক ; ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030088424682617