শিক্ষার্থীশূন্য বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ১৭ পেরিয়ে ১৮ বছরে পর্দাপণ উপলক্ষে দিবসটি উদযাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। অংশগ্রহণ কম হওয়ায় এতে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে দিবসটিতে অংশগ্রহণের হার ছিল সর্বনিম্ন, যা মোট শিক্ষার্থীর অনুপাতে ১ শতাংশের চেয়ে কম। অপরদিকে শুধু আবাসিক হলগুলোতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৫০০, যা আবাসিক শিক্ষার্থী অনুপাতে ৪%।
দিনটি উপলক্ষে শুরুতে র্যালি, কেক কাটা ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শিক্ষকরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিএনসিসি, রোভারস্কাউট সদস্যদের অংশগ্রহণ সন্তোষজনক হলেও বিপরীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল খুবই নগণ্য, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনুপাতে খুবই হতাশাজনক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জয় প্রকাশ বলেন, এদিক দিয়ে প্রশাসন ব্যর্থ! শিক্ষার্থীরা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নেই মানেই বোঝা যায় প্রশাসন কতটা ব্যর্থ বা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কতটা ডিটাচ এই প্রশাসন থেকে! বেশিদিন আগে না ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আর আজকের দিবসের মধ্যে দিন-রাত পার্থক্য। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূর হোসেন বাবু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, বিবেক বন্ধক দেওয়া দলকানা এক প্রকার দালালগুলো হালুয়া-রুটির লোভে সত্যকে লুকিয়ে মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের চেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বেশি আনন্দের। আমরা চেয়েছি শিক্ষার্থীদের মনের সুপ্ত ভালোবাসা বিকশিত করতে, যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে অংশগ্রহণ করে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্ধের দিন হওয়া ছাড়া নানাবিধ প্রতিবন্ধকতায় এটি সম্ভব হয়নি,তবে আগামী বছর ভালো কিছু হবে এ আশা করছি।