বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিলো মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা শিক্ষায় আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেবো। এটা আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার। পাঠ্যক্রমও সংস্কার করা হবে।
রোববার সন্ধ্যায় জাতীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, আমরা দেশ শাসনের মানুষ নই। আমাদের ছাত্রদের আহ্বানে এসেছি। তারা যখনই বলবে, আমরা চলে যাবো। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক আলোচনা থেকেই এটা আসতে হবে।
নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে আমরা পেয়েছি, সে সুযোগ কিছুতেই হারিয়ে যেতে দেবো না।
তিনি বলেন, বিভিন্ন আইনের নিপীড়নমূলক ধারা সংশোধন করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণাঙ্গ ভাষণ
ভাষণের শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনে নিহত ছাত্র–জনতাকে স্মরণ এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের হাতে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। এতো দিন দেশে যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তা বোঝাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পিওনেরও ৪০০ কোটি টাকার মালিক হওয়ার তথ্য তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরাচার তাঁর নিজের, পরিবারের ও দলের কিছু মানুষের স্বার্থ হাসিলের পথ তৈরি করে দিয়েছে। আর্থিক খাত ও শেয়ার বাজারে লুটপাটের কথা উল্লেখ করেন তিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথাও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ছাত্র–জনতার স্বপ্ন পূরণে কাজ করার জন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, একটি উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করবেন তিনি।