শিক্ষিত করার সবচেয়ে বড় রিসোর্স প্রাথমিক ও গণশিক্ষা

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, নাগরিকদের শিক্ষিত করে তোলা এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও সার্বজনীন করার লক্ষ্যে সবচেয়ে বড় রিসোর্স হলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের রয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাথমিক স্কুলের অবকাঠামো, সেখানে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক রয়েছে। শিক্ষকদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। সে সমস্ত শিক্ষকগণ ভবিষ্যৎ নাগরিকদের যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত 'প্রাথমিক শিক্ষায় পরিমার্জিত ডিপ্লোমা সম্পর্কিত কার্যকর সমীক্ষা' শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক ফরিদ আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুল হাকিম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অফ ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন মাইকেল ক্রেজজা।

উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে খাবার কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। স্কুলগুলোকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে বাচ্চারা আনন্দের সাথে লেখাপড়া করতে পারে। নাগরিকদের শিক্ষিত করার লক্ষ্যে তাদের মূল বেসিস হলো মাতৃভাষা। মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষায়ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে; তা না হলে উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারবে না। মানুষকে সমাজের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। সমাজ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। নাগরিককে যৌক্তিকভাবে শেখাতে হবে, যাতে সে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে।

সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কনসালটেন্ট দেবরাহ ওয়েবার্ন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির সহকারী বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান এবং এটিএম রাফেজ আলম। তাদের উত্থাপিত সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন, অর্থ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এর ৭৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল   SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা প্রশাসনে বড় বদলি - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বড় বদলি ডিআইএ পরিচালক কাজী কাইয়ুম শিশিরকে বদলি - dainik shiksha ডিআইএ পরিচালক কাজী কাইয়ুম শিশিরকে বদলি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা ঢাবিতে ভর্তি আবেদনের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha ঢাবিতে ভর্তি আবেদনের সময় বৃদ্ধি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ ই-রিকুইজিশনের সংশোধন অপশন চালু - dainik shiksha ই-রিকুইজিশনের সংশোধন অপশন চালু এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১১ হাজার শিক্ষক - dainik shiksha এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১১ হাজার শিক্ষক পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন ২ হাজার ৯২৩ শিক্ষক - dainik shiksha উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন ২ হাজার ৯২৩ শিক্ষক কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027480125427246