এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধারে অভিযুক্ত নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার উত্তর ভাবনচুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মির্জা সোবাহানে বদলি করা হয়েছে। এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে অভিভাবকরা তার অপসারণ দাবি করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে দেশের শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমে গতকাল মঙ্গলবার ‘শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে প্রধান শিক্ষিকার অপসারণ দাবি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা মির্জা সোবহানাকে একই উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের মৌয়ামাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংযুক্তি বদলি করা হয়। বুধবার তাকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকার বদলির বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোশফেকুর রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উত্তর ভাবনচুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষিকাকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। সেইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, মির্জা সোবহানা ওই স্কুলে যোগদান করার পর থেকেই অনিয়মিত স্কুলে যাওয়া আসা করেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করেন।
তার মেয়ে আমাদের সন্তানদের মারধর ও তিনি অকারণে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। গত সোমবার সকালে স্কুলে কোনো কারণ ছাড়াই হালিমা আক্তার (৫) নামে প্রাক প্রাথমিকের এক শিশু শিক্ষার্থীকে স্কেল দিয়ে মারধর করেন ওই প্রধান শিক্ষিকার ৭ বছর বয়সি মেয়ে রাহি। হালিমার অভিভাবকরা মারধরের প্রতিবাদ করলে উল্টো প্রধান শিক্ষিকা তাদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তাদের গায়ে হাত তোলার জন্য এগিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী স্কুলের ভেতরে প্রধান শিক্ষিকা মির্জা সোবহানাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্বার করে।