দৈনিক শিক্ষাডটকম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) : ঝালকাঠির রাজাপুরে স্কুলে বান্ধবীর টাকায় নাস্তা করায় এক শিশু শিক্ষার্থীর হাত ভেঙে দিলেন আরেক শিক্ষার্থীর মা। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থীর নাম ফাতিমা। তিনি উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের আরুয়া-সোনার গাঁও এলাকার মো. ওয়ালি উল্লাহ মেয়ে এবং ৫৬ নং আরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর বুধবার এলাকার আব্দুর রাজ্জাক সিকদারের মেয়ে সানজিদা বাড়ি থেকে ১৫০ টাকা নিয়ে স্কুলে আসেন। ওই টাকার ১০০ টাকা খরচ করে একই ক্লাসের সানজিদা, আখি, সুরাইয়া ও ফাতিমা নাস্তা করেন। পরের দিন খরচ করার জন্য সানজিদা বাকি ৫০ টাকা ফাতিমার কাছে রেখে দেন। এ ব্যাপারে ওইদিন রাতে ফাতিমার বাবা ওয়ালি উল্লাহর কাছে সানজিদার বাড়ি থেকে বিচার আসে। ওয়ালি উল্লাহ তার মেয়ে ফাতিমার বিচার করে রাতেই সানজিদার মায়ের কাছে ১৫০ টাকা দিয়ে আসেন। কিন্তু পরের দিন ২ নভেম্বর সানজিদার মা মাহফুজা বেগম ও খালা পাখি বেগম স্কুলে এসে ফাতিমাকে তুলে বাড়িতে নিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে মারধর করে ভেঙে দেন। ফাতিমার পরিবার জানতে পেরে ফাতিমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতিমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ফাতিমার বাবা। হাতে ব্যথার কারণে ফাতিমা সামনে স্কুল বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে পারেন কি না তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে ফাতিমার বাবা জানান।
সানজিদার নানা মো. নান্নু খান জানান, ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে ওদের এক হাজার টাকা দিয়ে এসেছি, লাগলে আরো দেবো।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।