আজকাল বেশিরভাগ শিশুই ফল খেতে চায় না। তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে পিৎজা, বার্গার, বিরিয়ানি, চিপস ও চকোলেটের মতো সব খাবার। বিশেষজ্ঞদের মতে,এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। তার শরীরে ঘাটতি হতে পারে ভিটামিন ও খনিজের। এ কারণে শিশুদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে তাদের খাদ্যতালিকায় কয়েক ধরনের ফল যোগ করা জরুরি। যেমন-
কলা : শিশুদের জন্য সেরা ফলের তালিকায় রয়েছে কলা। এই ফল কার্বোহাইড্রেটের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান শক্তির ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়ামের মতো ভিটামিন ও খনিজ। এর পাশাপাশি এই ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবারও রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কলা রাখলে শিশুরা ভালো উপকার পাবে।
আপেল : কথায় আছে, প্রতিদিন একটা কেরে আপেল খেলে ডাক্তারের থেকে দূরে থাকা যায়। কারণ, এতে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ফল খেলে দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পৌঁছে যায়। যার ফলে দেহে প্রদাহ কমে। নানা ধরনের জটিল রোগের ফাঁদ এড়ানো যায়। এ কারণে শিশুদের প্রতিদিন একটা করে আপেল খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এতে তাদের শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
পেয়ারা : ভিটামিন সি-তে ভরপুর পেয়ারা ইমিউনিটি বাড়ায়। যার ফলে একাধিক সংক্রামক অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। শুধু তাই নয়, এই ফলে আয়রন, পটাশিয়ামের মতো একাধিক জরুরি খনিজ রয়েছে। যেই কারণে পেয়ারা খেলে শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
কমলালেবু : শীতের এই সময় শিশুর খাদ্যতালিকায় কমলালেবু রাখুন। কারণ, এই ফলে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু তাই নয়, এতে মজুত বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শিশুকে নিয়মিত কমলালেবু খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
বেরি : ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি-সহ একাধিক বেরি জাতীয় ফল হলো স্বাস্থ্যগুণে সেরা। এসব ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। যে কারণে বেরি জাতীয় ফল খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। সেই সঙ্গে এতে মজুত ভিটামিন ও খনিজের গুণে মিটে যায় পুষ্টির ঘাটতি। তাই রোজের ডায়েটে অবশ্যই বেরি জাতীয় ফল অবশ্যই রাখুন।