শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ। ঘন-কুয়াশার সাথে তীব্র শীতে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। হিমেল হাওয়া দুর্ভোগ আরও বেড়িয়েছে। দুপুর গড়িয়ে গেলেও অধিকাংশ সময়ে সূযের আলো দেখা যায়নি। দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে দূরপাল্লাার যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ১১দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে,হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিমোনিয়ায় আক্রান্ত ১২ জন শিশু, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৭ জন এবং শিশু ওয়ার্ডে ৬১ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিদিন আউটডোরে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়াও জেলার বাইরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিমোনিয়ায় ১২ জন শিশু, ডায়রিয়ায় ২১জন আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, জেলার ৯ উপজেলায় ও ৩টি পৌরসভায় শীতার্তদের জন্য ৩৫ হাজার কম্বল, শীতবস্ত্র কেনার জন্য ৬৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। প্যাকেটের মধ্যে ১০ কেজি চাল, ১কেজি ডাল, ১লিটার তেল, ১কেজি চিড়া, ১কেজি চিনি ও আধা কেজি লবণ ছিল।