জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত পরিসরে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) নেতারা। তারা বলছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষকদের নিরপত্তার স্বার্থে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত পরিসরে চলবে শিক্ষকদের আন্দোলন। এসময় বিটিএর ৬০ জন কেন্দ্রীয় নেতা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এ সময়ে স্কুলের তালা খুলবে না। তবে সাধারণ শিক্ষকদের আগামী শুক্রবার দুপুর দুইটার পর থেকে ফের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান নেয়া শিক্ষকদের নেতা বিটিএর সাধারণ সম্পাদক শেখ কাউছার আহমেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাজধানীতে দেশের বড় দুইটি রাজনৈতিক দল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এতে করে রাজধানীতে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আমাদের আন্দোলন থেকে ফিরে যেতে বলেছেন। আবার আগামী শুক্রবার সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হাই কোর্ট এলাকায় আসবেন বলে আমাদের জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত পরিসরে আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়েছি।
তিনি বলেন, তবে জাতীয়করণের আন্দোলনে শিক্ষকদের অবস্থান চলবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত আমরা বিটিএর কেন্দ্রীয় কমিটির ৬০ জন নেতা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করবো। তবে সাধারণ শিক্ষকদের আমরা ফিরে যেতে বলছি। আগামী শুক্রবার দুপুরের পর থেকে তাদের আবারও আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এর আগে বুধবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কয়েক হাজার শিক্ষক মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে বিটিএর ব্যানারে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকরা ১৬ তম দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। গত ১১ জুলাই থেকে তারা মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
এদিন দুপুরে রাজধানীর রাজধানী ইডেন মহিলা কলেজে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্দোলনরত শিক্ষকদের বুধবারই ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এসময় তিনি বলেন, বিরোধী দল যেভাবে এগুচ্ছে আর তারা যেখানেই কোনো কর্মসূচি পালন করছেন সেখানেই আরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল যদি সেরকম কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়। সে দায়িত্ব কারা নেবে। সে দায়িত্ব কি শিক্ষক নেতৃবৃন্দ নিতে পারবেন। আমি বলছি, শিক্ষকরা যেনো আজকের মধ্যে ক্লাসে ফিরে যান। আমরা তাদের দাবির পক্ষ কাজ শুরু করেছি। যদি তারা মনে করেন কাজ হচ্ছে না তার আবার আসতে পারেন।
জানা গেছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার ও পরশু শুক্রবার শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ নিয়ে আলোচনা করতে শিক্ষক নেতাদের নিয়ে ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সে ওয়ার্কশপে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। তবে, মন্ত্রীর সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক নেতারা।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।