দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শনিবার ক্লাস চালু থাকবে। রোববার দুপুরের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটককে এ খবর নিশ্চিত করেছে।
এর আগে রোববারই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছিলো, স্কুলের কর্মদিবস কমে গেলে শুক্রবারও ক্লাস পরিচালনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫ দিন। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরো কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেয়া হবে।
কিন্তু পরে, ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের ওই ঘোষণা সরিয়ে নিয়ে একই পেজে বলা হয়, শুক্রবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিভায়েড পেজে শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেয়া তথ্য ভূলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত শনিবার পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও গত ৩০ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেছিলেন, যদি কর্মদিবস কমে যায়, তাহলে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে।
এদিকে, পবিত্র রমজান মাস, ঈদুল ফিতর ও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দীর্ঘ ছুটি শেষে শর্তসাপেক্ষে রোববার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে শর্তানুযায়ী, তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে; শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাহিরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সব কার্যক্রম সীমিত থাকবে; তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল পৌনে ১০টা থেকে থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রোববার প্রাথমিকে পুরোদমে ক্লাস চালু হয়েছে।
এর আগে পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল স্কুল খোলার কথা থাকলেও তাপপ্রবাহের কারণে আরো এক সপ্তাহ ছুটি বাড়ানো হয়। তারপর স্কুল খোলা হলেও প্রতিদিনই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাপপ্রবাহ প্রধান কিছু জেলায় স্কুল বন্ধ রেখে অবশিষ্ট জেলাগুলোর মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখার ঘোষণা দিতে থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার অবধি প্রাথমিক স্কুলগুলো বন্ধের কথা জানায়। এরই মাঝে গত সপ্তাহের শুরুতে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে গত বৃহস্পতিবার অবধি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী তখন স্কুল ছুটির সিদ্ধান্ত নির্বাহী বিভাগের, আরো সুনির্দিষ্ট করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বলে উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে কোর্টের তরফে আর কোনো নির্দেশনা না এলেও গরমপ্রধান জেলাগুলো বাদে সারা দেশের মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলো খোলা রাখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রতিদিনই পরের দিন কোন কোন জেলায় স্কুল বন্ধ থাকবে তা জানাতে থাকে। রোববার থেকে এ অনিশ্চয়তার অবসান হয়েছে।