এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের যে ১৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ উত্তীর্ণ হতে পারেনি তার একটি হলো নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার চাওড়াডাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, এ কলেজ থেকে তিনজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এবং সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখা চালু হয় ২০১২ সালে। তখন থেকেই বেতন নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। এ কারণে শিক্ষকেরা এখন কলেজে আসেন না। তাঁরা পরিবারের ভরণপোষণের জন্য অন্য পেশায় ঝুঁকছেন।
গত শুক্রবার আলাপকালে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মন্মথ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে বেতন না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের মনোবল ভেঙে পড়েছে। তা ছাড়া, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি হয়। এসব শিক্ষার্থীরা পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে গার্মেন্টসে কাজ করে আর পরীক্ষার সময় এসে পরীক্ষায় বসে।’
মন্মথ চন্দ্র জানান, তাঁদের এখান থেকে গত বছর নয় শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ছয়জন পাস করেছিল। বর্তমানে কলেজের শিক্ষকেরা আর আসেন না। এত বছর বিনা বেতনে কেউ শিক্ষকতা করবেন কি না, সেই প্রশ্নও রাখেন তিনি।
শূন্য পাসের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মানিক হোসেন বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
প্রসঙ্গত, দিনাজপুর বোর্ডে এবার মোট ৬৭১টি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত বছর অকৃতকার্য কলেজের সংখ্যা ছিল দুটি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩টিতে। এই ১৩টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৬৫ জন।