রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) আল-ইমরান নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ইমরান বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (নিরাপত্তা) মো. জাবের আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক সবসময় তালা দেওয়া থাকে না। দুপুরে হঠাৎ রাজনৈতিক প্রোগ্রামের কথা বলে অর্ধশতাধিক যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। তাদের ব্যবহৃত ৩০-৪০টা মোটরসাইকেলে প্রধান ফটক সংলগ্ন শেখ কামাল ভবনের সামনে পার্কিং করেন তারা। খবর পেয়ে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম। তালা দেওয়ার পর তারা পিকআপে নিয়ে চেয়ার গেটের সামনেই বসিয়ে খাওয়া-দাওয়া শুরু করে।
ছাত্রলীগ নেতা আল ইমরানকে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, সেসময় আমাদের ছাত্ররা সেখানে গিয়ে বাধা দিলে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে সে সময় আমি সশরীরে উপস্থিত ছিলাম না।
মারধরের একটি ভিডিও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এসেছে। এতে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে বসা ছাত্রলীগ নেতা আল ইমরানকে বেশ কয়েকজন মিলে চড়-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারছেন। সেখানে সিকিউরিটি গার্ড ও আরও কয়েকজন বাধা দিলেও তারা মারধর চালিয়ে যায়। একপর্যায়ে আল ইমরান সেখান থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে ইমরানের মোবাইল নম্বরে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে শেরেবাংলা হল শাখার সাধারণ সম্পাদক রিফাত শেখ বলেন, হাতাহাতির ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা যুবলীগের নেতাকর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যেহেতু ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। আশা করি তারা ব্যবস্থা নেবে। তারা নিলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শেকৃবির প্রক্টর ড. মো. হারুন-উর রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বিষয়টি আমিও জেনেছি। তাৎক্ষণিক মূল ফটকের গেট বন্ধ করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) শেরেবাংলানগরস্থ পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।