আগামীকাল ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস। এ দিবস উপলক্ষে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করতে হবে। ১৮ অক্টোবর সুবিধাজনক সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্মরণ সভার আয়োজন করতে হবে।
একইসাথে দিবসটি উপলক্ষে সব স্কুল-কলেজে দেয়ালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল দেয়ালিকা’ নামে দেয়ালিকার জন্য একটি স্থায়ী স্থান নির্ধারণ করতে হবে। বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসবকে কেন্দ্র করে ওই স্থানে কবিতা, সৃষ্টিশীল লেখা ও ছবি উপস্থাপন করা হবে।
এরআগে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে স্কুল-কলেজগুলোতে শুধু দেয়ালিকার স্থান নির্ধারণ ও দেয়ালিকা প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়া হলে সে কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এক সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
অধিদপ্তর বলছে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত তারিখে সুবিধামত সময়ে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেখ রাসেল সম্পর্কে স্মরণ সভার আয়োজন করতে হবে।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেখ রাসেল দেয়ালিকা নামে দেয়ালিকার জন্য একটি স্থান স্থায়ীভাবে নির্ধারণ করবে। ঐ স্থানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে গল্প, কবিতা, সৃষ্টিশীল লেখা ও ছবি তা উপস্থাপন করবে। প্রথম দেয়ালিকা প্রকাশিত হবে অক্টোবরের মধ্যে এবং তার প্রতিপাদ্য হবে শেখ রাসেল দিবস। ২০ অক্টোবরের পর যেদিন শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত শ্রেণি কার্যক্রমের অংশগ্রহণ করবে সেদিন তারা তাদের ছবি ও লেখাগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের কাছে জমা দেবে এবং তার তত্ত্বাবধানে লেখা ও ছবি নিয়ে দেয়ালিকা প্রস্তুত করবে।
অধিদপ্তর বলেছে, শেখ রাসেল দিবস ঘোষণা করে ‘ক’ শ্রেণিভু্ক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকার ঘোষিত প্রথমবারের মত শেখ রাসেল দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেওয়া জাতীয় কর্মসূচির সাথে দেয়ালিকা প্রকাশ ও স্থান নির্ধারণের কর্মসূচি উদযাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তরের নির্দেশনা আরও বলা হয়েছ, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শপথ সংগ্রহ করে একশত শপথ বাছাই করবে। জাতীয়ভাবে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহিত শপথ থেকে শেখ রাসেল দিবসে বাছাইকৃত শতশপথ নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হবে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে সব অনুষ্ঠান আয়োজন ও অংশগ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (লিংক যাবে) করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।