প্রতিবছরের মতো এবারো শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবস উপলক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ এবং কলেজের অধ্যক্ষ বটু গোপাল দাস প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যবাহী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
পরে এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শুভদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুকুল ইসলাম, ভান্ডারকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ওবায়দুল্লা, সিদ্দিক আলী, তারিকা বেগমসহ অনেকে।
সকালে প্রভাতফেরির মধ্যেমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। অধ্যক্ষ বটু গোপাল দাসের নেতৃত্বে প্রভাতফেরিতে অংশ নেন শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এরপর কলেজে স্থাপিত শেখ রাসেল দেয়ালিকা কর্ণারে ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সংখ্যা-২০২৩’ এর উদ্বোধন করা হয়।
সকাল নয়টা কলেজের স্বপ্নন দাশ অডিটোরিয়ামে অধ্যক্ষ বটু গোপাল দাসের সভাপতিত্বে প্রভাষক মো: সাইদুর রহমানের উপস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারী অধ্যাপক শেখ তারিকুল ইসলাম। এছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সহকারী অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয় কুমার দাস, সিরাজুল ইসলাম মল্লিক, উৎপল কুমার দাস, সালমা খাতুন, প্রভাষক শেখ শামীম ইসলামসহ অনেকে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ, মানবাধিকার ও মুক্তিসহ প্রভৃতি মূল্যবোধের উন্নয়নে ভাষা শহীদদের অবদানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
অধ্যক্ষ বটু গোপাল দাস বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারিকে আমরা কেবল ভাষার অধিকার রক্ষার লড়াই ভাবলে ভুল করবো। একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ হলো অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর চিরন্তন সংগ্রামের স্মারক।
তিনি আরও বলেন, ভাষা শহীদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। এই দিনে আমাদের সব রকম অন্যায়, অত্যাচার শোষণ ও নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে মাথা উচু করে দাঁড়ানোর শপথ নিতে হবে।
আলোচনা শেষে শুরু হয় ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের অংশগ্রহণে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একুশের গান, কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য হয়ে উঠে।