নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সুগন্ধা পরিবহনের বাস চালকসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সুগন্ধা কিং পরিবহনের চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সোনাপুর-সুবর্ণচর সড়কের উত্তর ওয়াপদা বাজারের কাছে প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সুধারাম মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রিয়াজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে সুগন্ধা পরিবহনের একটি বাস সুবর্ণচর উপজেলা থেকে জেলা শহর মাইজদীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোক র্যালি ও আলোচনা সভায় যাচ্ছিল। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। যাত্রা পথে বাসটি সদর উপজেলার বিমানবন্দর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা লাল সবুজ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সুগন্ধা বাসের কমপক্ষে ৩৫ জন যাত্রী আহত হন। লাল সবুজ পরিবহনের বাসটিও সুবর্ণচর উপজেলা থেকে একই কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীদের আনার জন্য যাচ্ছিল।
খবর পেয়ে সুধারাম ও চরজব্বর থানার পুলিশ সদস্যরা এবং সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একদল সদস্য আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সুধারাম মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, যাত্রীবাহী বাস লাল সবুজ চরজব্বর যাওয়ার সময় মাইজদীগামী সুগন্ধা কিং নামের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ মহিউদ্দীন আব্দুল আজিম বলেন, বাস দুর্ঘটনায় ৩৫-৪০ জন রোগী আহত হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসেছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কতজন আহত হয়েছেন এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।