শোক দিবসের মিছিলে যাওয়ায় এমপির নির্দেশে শিক্ষক বরখাস্ত

নাটোর প্রতিনিধি |

নাটোরের গুরুদাসপুরে শোক দিবসের মিছিলে অংশ নেওয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে মাসুদুর রহমান (৪০) নামে এক স্কুল শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম নবী বলেন, সংসদ সদস্যের মৌখিক নির্দেশে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলেন। তার নির্দেশেই পরিস্থিতির কারণে শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খ.ম. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক মাসুদুর রহমান উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের দড়িকাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। সরকারি চাকরি বিধি উপেক্ষা করে ১৪ আগস্ট উপজেলার ধারাবারিষাতে মিছিল-মিটিং করে সরকারি চাকরির আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে সংসদ সদস্যের মৌখিক নির্দেশে গত ১৬ আগস্ট অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, নোটিশটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি পাঠানো হয়। গত ২৩ আগস্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক মাসুদুর রহমান বলেন, তিনি অন্য এলাকায় চাকরি করলেও তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার ধারাবারিষা গ্রামে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ধারাবারিষা মাঠে জেলা আ.লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহম্মদ আলী মোল্লার সমর্থনে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি সফল করতে আগের দিন সন্ধ্যায় (১৪ আগস্ট) এলাকায় শোক দিবসের ব্যানারসহ একটি মিছিল বের করা হয়।

তিনি বলেন, আহম্মদ আলী মোল্লা সম্পর্কে মামা হওয়ার কারণে মিছিলের শেষ ভাগে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিহিংসা বশত সংসদ সদস্য তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন। সংসদ সদস্যের প্রভাবে শিক্ষা কর্মকর্তারা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী আহম্মদ আলী মোল্লা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আগস্টের শোক দিবসে স্কুল সময়ের পরে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় আব্দুল কুদ্দুস এমপি ও জেলা আ.লীগের সভাপতি হওয়ার কারণে প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাদের দিয়ে শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে বরখাস্ত করিয়েছেন। এটা ঠিক হয়নি , খুবই দুঃখজনক ।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য - dainik shiksha ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত - dainik shiksha উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046958923339844