শ্রমিকের মজুরি ও শিক্ষকদের বেতন

অধ্যাপক মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ |

দেশে সরকারিভাবে আছে ন্যুনতম মজুরি বোর্ড। বোর্ডের কর্ম পদ্ধতিতে বলা হয়েছে-

“সরকার কর্তৃক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারী নির্দিষ্ট কোন শিল্প সেক্টরের মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সদস্য মনোনয়নর্পূবক এই বোর্ডকে অবহিত করার পর বোর্ডের চেয়ারম্যান বিধি অনুযায়ী সভা আহবানের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেন। ব্যক্তিমালিকানাধীন বা বেসরকারী নির্দিষ্ট কোন শিল্পের সার্বিক অবস্থা, শ্রমিকদের জীবনযাপন ব্যয়, জীবনযাপনের মান, উৎপাদন খরচ, উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য, মুদ্রাস্ফীতি, কাজের ধরণ, ঝুঁকি ও মান, ব্যবসায়িক সামর্থ, দেশের এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনাপূর্বক এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট শিল্প পরিদর্শনপূর্বক প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করিয়াসভায় উপস্থিত সকল/সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে শ্রমিক কর্মচারীদের নিম্নতম মজুরী হারের খসড়া সুপারিশ গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাধারণের/সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য প্রচার করা হয়। খসড়া সুপারিশ প্রকাশের ১৪ দিনের মধ্যে প্রাপ্ত আপত্তি/সুপারিশ/মতামত ইত্যাদি বোর্ড সভায় বিবেচনা করিয়া চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়নর্পূবক সরকারের নিকট সুপারিশ আকারে পেশ করা ’’

সরকার কর্তৃক ঘোষিত নিম্নতম মজুরীর হার সম্পর্কে কোনভাবে কোন আদালতে বা কোন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রশ্ন করা বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।

নিম্নতম মজুরী হারের পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনাঃ ১) শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৪১ এ উল্লেখিত বিষয়াদি বা অন্য কোন প্রাসঙ্গিক বিষয়ের কোন পরিবর্তনের কারণে প্রয়োজন হইলে মজুরী বোর্ড উহার কোন সুপারিশ পুনরায় পর্যালোচনা করিয়া দেখিবে এবং সরকারের নিকট শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৪০ এর অধীন ঘোষিত নিম্নতম মজুরী হারের কোন সংশোধন বা পরিবর্তন সুপারিশ করিবে।

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ক্ষেত্রে কোন বিশেষ পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণ ব্যতীত কোন সুপারিশ উহা পেশের এক বৎসরের মধ্যে অথবা তিন বৎসর পরে উক্তরূপ পর্যালোচনা করা যাইবে না।

২) এই ধারার অধীন কোন পর্যালোচনা এবং সুপারিশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৩৯ এর অধীন তদন্ত এবং সুপারিশ বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এই অধ্যায়ের বিধান, যতদুর সম্ভব এই ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।”

অন্যদিকে পোশাকশিল্প শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি এখন দেশের ‘অন্যতম সংবাদ শিরোনাম’। শান্তি ও জীবন-সম্পদের নিরাপত্তার জন্য গার্মেন্টস অধ্যুষিত শিল্পাঞ্চলে কারখানা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে নিম্নতম মজুরি বোডের্র বৈঠক শেষে বলা হয়, পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি বেড়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা হতে চলেছে। বর্তমানের চেয়ে এই মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। বর্তমানে এই শিল্পে নিম্নতম শ্রমিক মজুরি ৮ হাজার টাকা। 

চূড়ান্ত হওয়া মজুরি প্রস্তাব অনুযায়ী, মোট মজুরির মধ্যে মূল বেতন হবে ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরির মধ্যে মূল বেতন হবে ৬ হাজার ৭০০ টাকা। আর মূল বেতনের অর্ধেক হচ্ছে বাড়িভাড়া। এ ছাড়া খাদ্যভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা, চিকিৎসাভাতা ৭৫০ টাকা ও যাতায়াতভাতা ৪৫০ টাকা। প্রতিবছর মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়বে। নতুন মজুরিকাঠামোতে সাতটি গ্রেডের বদলে পাঁচটি গ্রেড থাকবে। 

বলা হয়েছে, পোশাক শ্রমিকদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা যাই হোক না কেন প্রত্যেক শ্রমিককে একটি করে ফ্যামেলি কার্ড দেওয়া হবে। পরবর্তীতে তাদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। 

তবে শ্রমিকদের কথা হলো, এই মজুরি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ২০১৮ সালে নিম্নতম মজুরি ছিল ৯৫ ডলার। এখন ডলারের বিনিময় হার ১১০ টাকা ৫০ পয়সা ধরলেও নতুন মজুরি দাঁড়ায় ১১৩ ডলার। তাহলে পাঁচ বছর পর এসে মজুরি বাড়ল মাত্র ১৮ ডলার।

এটাকে কি মজুরি বৃদ্ধি বলে? 
শ্রমিকরা বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৫০-৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০-১৪০ টাকা আর সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে ১৬৯ টাকা লিটার। যে মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে, তা দিয়ে শ্রমিকেরা এই বাজারে চলতে পারবেন না। মজুরি পুনর্বিবেচনা করা হোক। শ্রমিকরা চাচ্ছে, তাদের ন্যুনতম মজুরি বিশ-পঁচিশ হাজার টাকা করা হোক।

প্রসঙ্গতঃ দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত/ নন-এমপিও শিক্ষকদের নাজুক অবস্থা বলবেই কে, শুনবেই বা কারা? অথচ শিক্ষকদেরও পেট আছে, পরিবার আছে। শিক্ষকদের নেই, শ্রমিকের মতো রাস্তায় নামবার সামর্থ্য ও সমর্থন। 

বলা হয় ‘এতো ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গ ভরা’ উক্তির অনুপম দৃষ্টান্ত হলো: বেসরকারি শিক্ষকদের অনৈক্য। সম্ভবতঃ পেশাগত দাবিতে সবচেয়ে অনৈক্যের খেসারত দিচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষকগণ। ‘বুদ্ধির সওদাগরি’র কারণেই তাদের বিভক্তিরেখা এতো স্পষ্ট! আকাশের লক্ষ তারা’র মতো বেসরকারি শিক্ষকদের নেতৃত্বের অসংখ্যধারা! শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে একমত, ‘তারা কখনো ঐক্যবদ্ধ হবেন না’!

বর্তমানে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসারসহ প্রতিষ্ঠানভেদে এমপিওর পাশাপাশি নন-এমপিও শিক্ষকও কম নয়। ফলে বৈষম্য ও যোগ্যতার মানসিক দ্বন্দ্বও স্পষ্টতর হচ্ছে। স্কুলের অতিরিক্ত শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত ও কলেজের অনার্স-মাস্টার্সের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি যেন নিষিদ্ধ দাবি! এ যেন হাত-পা বেঁধে সাতরানোর জন্য ছেড়ে দেওয়ার অপপ্রয়াস! 
#অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা জাতীয় বেতনস্কেল অনুযায়ী পারিতোষিক থেকে বঞ্চিত।
#কোথাওবা তাদের জন্য আলাদা হাজিরা খাতা।
#কোথাওবা তাদের জন্য আলাদা মিলনায়তন।
#কোথাওবা তাদেরকে পাবলিক পরীক্ষার ডিউটি ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব থেকেও বঞ্চিত করা হয়।
#কোথাওবা তাদের ‘বিয়ের আলোচনা’ থেমে যাওয়ার বিড়ম্বনা ও অনন্ত অবজ্ঞা-অবহেলার শিকার হতে হচ্ছে।

অথচ নন-এমপিও শিক্ষকদের কি পেট নেই? নেই কি পরিবার? নেই কি পিতামাতা?
চরম দূঃখজনক যে, সরকারি অর্থায়ন নেই অথচ কলেজে অনার্স-মাস্টার্সের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে! এতে নন-এমপিওগণ আলো ছাড়িয়ে নিজেরাই থেকে যাচ্ছেন অন্ধকারে, কি তাদের অন্যায়?

গ্রামে-গঞ্জে অনার্সের সুবাদে প্রচুর আয় হলেও অধিকাংশ কলেজে তৈরী হয়েছে এমপিও নন-এমপিও বিড়ম্বনা। কলেজ অংশের আনুসঙ্গিক প্রাপ্তি তথা বাড়িভাড়া, উৎসব বোনাস ইত্যাদি খাতে এমপিওভুক্তদের বকেয়া-বঞ্চনার পাশাপাশি নন-এমপিওরাও জাতীয় বেতনস্কেলের সুবিধা হতে হচ্ছেন বঞ্চিত।

নন-এমপিও কথাটিই অপরিশীলিত পরিভাষা। বরং ঐ সব ভাগ্যাহত শিক্ষকগণ আসলে ‘অতিরিক্ত শাখায়’ অথবা ‘সৃষ্টপদে’ ও শর্তের বেড়াজালে যোগদানকারী ভাগ্য বিড়ম্বিত শিক্ষক,  যাদের এমপিওভুক্তি হচ্ছে না। মানবেতর জীবনযাপনকারী নন-এমপিওদের প্রতি চরম অবহেলা সব শিক্ষক ও আমাদের শিক্ষাব্যস্থার জন্য লজ্জার বিষয়।

পোশাক শ্রমিকরা তাদের ন্যুনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা মানতে পারছে না। অথচ সরকারি বেতনস্কেল অনুযায়ী স্নাতক পাস একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের প্রারম্ভিক বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা। সিলেটের আঞ্চলিক উচ্চারণে বলতে হয় ‘ই লাখান মাস্টরি দিয়া আমি খিতা করবাম.....’?

এমপিওভুক্তদের প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বকেয়া-বঞ্চনা, বৈষম্য অবসানের পাশাপাশি নন-এমপিওদের জন্য জীবনরক্ষার পারিতোষিক নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সবার বাঁচার অধিকারের সুরক্ষা প্রয়োজন। 

এমপিওভুক্ত শিক্ষকের শতকরা ২৫ ভাগ উৎসবভাতা, ‘জাতীয়লজ্জা’! তাদের বাড়িভাড়া ১০০০/=, চিকিৎসাভাতা ৫০০/=। পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল ভাতা, বদলি সুবিধাসহ অসংখ্য বঞ্চনার শিকার। নেই স্বেচ্ছাঅবসরের (এড়ষফবহ যধহফংযধশব) সুযোগও। তাদের পদোন্নতির সুযোগ সীমিত ও শর্তযুক্ত।

কলেজে অধ্যাপনারতদের ‘অধ্যাপক’ বলা হলেও তাদের ‘সহকারী’ পর্যন্ত যাবার সামান্য সুযোগ থাকলেও নেই আইনগতভাবে এমপিও সুবিধাসহ ‘সহযোগি অধ্যাপক’ বা ‘অধ্যাপক’ হওয়ার অধিকার! 

‘সহ’ ‘উপ’ ‘যুগ্ম’ ‘সাব’ ‘জুনিয়র’ ইত্যাদি পদবির চূড়ান্তধাপে পূর্ণ-পদবিধারী থাকেন। এমপিওভুক্ত কলেজে সহযোগি অধ্যাপক বা অধ্যাপকের পদ না থাকায় জিজ্ঞাসা, ‘সহকারী অধ্যাপকগণ’ কোন উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সহকারী?

এমপিওভুক্ত কলেজে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ হতে হলে প্রার্থীকে নতুন করে চাকুরি খুঁজতে হয়। আছে নানান শর্তের জটিল বেড়াজাল। চাকুরি পেলে ছাড়তে হয় আগের পদ।

শিক্ষকদের নেই গৃহনির্মাণ ঋণ, নেই আবাসনের জন্য কোনো কর্মসূচি। যে দেশে ছিন্নমূল গৃহহীনের জন্য আছে ‘আশ্রায়ণ’ সে দেশেরই মানুষ গড়ার কারিগরের বাড়িভাড়া এক হাজার টাকা। অনেক শিক্ষকই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান হতে পান না আবাসন ও অবসরকালীন আর্থিক সুবিধাও।

অভিন্ন সিলেবাসে পাঠদানকারী বেসরকারি শিক্ষকদের চাওয়া: বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের স্থায়ী, সংবিধিবদ্ধ নীতিমালা। পর্যায়ক্রমে শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২০% অথবা জিডিপির শতকরা ০৬% বরাদ্দ নিশ্চিত করা। ‘শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো’ পরিহার করে বরং যা আছে তা অব্যাহত রেখে ক্রমশ তার ভিত্তি সুদৃঢ়করণ বেশি জরুরি। কেননা, ‘ঢেলে সাজানো’র কথা বলে শুধু ঢালা হয় সাজানো হয় না!

শিক্ষা জাতীয়করণের লক্ষে শিক্ষকরা যখন সরকারের মনোযোগ আকর্ষণে তৎপর হয় তখন অনেকেই ভাবেন: শিক্ষকরা টাকার জন্যই এ সব করেন। এমন ধারণা নিতান্তই হীন মানসিকতা ও বিভ্রান্তিকর। টাকার কাঙ্গালরা অন্যসব কিছু করলেও শিক্ষকতা করেন না। নিতান্তই নিরীহ, নির্লোভরাই হন শিক্ষক। দারুণ সম্ভাবনা ছেড়েও অনেকে শিক্ষকতায় আসেন কেবল অন্তরের আকাঙ্খা ও জাতির প্রতি কৃতজ্ঞতা ঋণ শোধের দায়ে।

শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানেও গণমুখী, বৈষম্যহীন ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার কথা রয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রত্যেক শিক্ষাস্তরে সরকারি বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা, শিক্ষক রয়েছে। কিন্তু এক ও অভিন্ন শিক্ষা বিভাগ থেকে দেশের প্রাথমিক, এবতেদায়ি, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, ক্যাডেট ও উচ্চ শিক্ষার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও পরিচালিত হচ্ছে। একই নিয়ম নীতি, সিলেবাস, পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রশ্ন পদ্ধতি প্রণীত হচ্ছে। অথচ আর্থিক সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানে পার্থক্য বিদ্যমান। 

‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড’, মেরুদণ্ড যেমন শরীরের পিছনে থাকে আমরা শিক্ষক সমাজও জাতির সবচেয়ে পিছনেই রয়ে গেছি! 

ইউনেস্কোর ২৬তম অধিবেশনের সিদ্ধান্তে ১৯৯৪ থেকে প্রায় দু’শ দেশে ৫ অক্টোবর পালিত হয় ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’। ১৯৬৬ প্যারিস সন্মেলনে ১৩টি অধ্যায়, ১৪৬টি ধারা-উপধারায় শিক্ষকের মর্যাদা ও অধিকারের জন্য প্রণীত সুপারিশে: চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসেবা, ছুটি বেতন-ভাতা ও মর্যাদার ক্ষেত্রে আছে (ক) সম্মানজনক পারিতোষিক নিশ্চিতকরণ (খ) যুক্তি সংগত জীবনমান বিধানকল্পে সুবিধাদি নিশ্চিতকরণ (গ) স্কেল অনুযায়ী নিয়মিত বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা (ঘ) জীবনধারণের ব্যয়বৃদ্ধির সঙ্গে বেতন কাঠামো পূণঃবিন্যাস ও বর্ধিতবেতন প্রাপ্তির নিশ্চয়তা ইত্যাদি। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক শিক্ষকের যাপিতজীবনের রূঢ় বাস্তবতায় শিক্ষকতা একটি নির্মোহ পেশা ও বঞ্চনার পরিভাষা।

বস্তুতঃ শিক্ষকের জীবনমানের উন্নতি ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ণ অসম্ভব। জাতিকে খাড়া ও সোজা রাখবার শক্তি যোগায় ‘মানুষ গড়ার কারিগর’ শিক্ষক। কারিগরকে অভূক্ত, অবহেলিত রাখলে জাতি হয়ে ওঠবে দূর্বল ও অবনমিত। কেননা, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং শিক্ষকের সম্মান সবার ওপরে। কবির ভাষায় 
“এক ফোটা পদধূলি নহে পরিমাণ
গয়া কাশি বৃন্দাবন তীর্থের  সমান”
(মৈমনসিংহ গীতিকা; কবি বংশিদাস) ।

লেখক: বিভাগীয় প্রধান ইসলামিক স্টাডিজ কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর

 

 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ - dainik shiksha পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ সড়ক-রেলপথ ছাড়লেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha সড়ক-রেলপথ ছাড়লেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে সতর্কবার্তা দিলেন সারজিস আলম - dainik shiksha ফেসবুকে সতর্কবার্তা দিলেন সারজিস আলম আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে - dainik shiksha আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা - dainik shiksha শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে - dainik shiksha ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি - dainik shiksha কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028870105743408