নতুন কারিকুলামের ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন চলছে। ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও অন্যান্য শ্রেণির পরীক্ষা নিচ্ছে স্কুলগুলো। শিখন সামগ্রীর মাধ্যমে শিখন এবং মূল্যায়ন কার্যক্রম চালাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে (পরীক্ষার মত) কোনো প্রকার ফি আদায় করার নির্দেশনা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে না দেয়া হলেও পিরোজপুরের কাউখালীর বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়নে ফি নিচ্ছে। কাউখালীতে একমাত্র সরকারি বালক বিদ্যালয় ছাড়া সব স্কুলেই মূল্যায়ন ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করছে। সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য আদায়কৃত টাকা দিয়ে উপকরণ কিনে সরবরাহ করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানিয়েছেন।
কাউখালী এস বি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম গিয়াস উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার পাশাপাশি সরকারি নির্দেশে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়ন ৭ জুন শুরু হয়েছে। পরীক্ষা হবে প্রশ্ন দিয়ে আর মূল্যায়ন হচ্ছে প্রশ্নব্যতীত। তবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে তাদের কাজ দেয়া হচ্ছে। মূল্যায়নের জন্য সব উপকরণ স্কুল থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। এজন্য এখানে অনেক খরচ হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উপকরণের খরচ বাবদ কিছু টাকা নেয়া হয়েছে।
আইরন জয়কুল এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬১০ টাকা ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬৬০ টাকা করে বেতন, বিদ্যুৎ বিল ও মূল্যায়ন ফি নেয়া হয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক মো. নান্না মিয়া কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ধারাবাহিক মূল্যায়ন এটা একটা উৎসব। মূল্যায়ন ফি নেই। আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ও বিদ্যুৎ বিলের টাকা নিয়েছি। অন্য স্কুলে ফি নিয়েছে।
সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল সেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মূল্যায়নের জন্যে স্কুল থেকে সব উপকরণ দেয়া হচ্ছে। এখানে মূল্যায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়নি।
কাউখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হান্নান সামষ্টিক মূল্যায়নের ফি সম্পর্কে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সরকারিভাবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেহেতু এটা পরীক্ষা নয়, তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ বাবদ ফিয়ের নামে টাকা নেয়ার প্রশ্নই উঠে না। সরকারিভাবে এ ব্যাপারে কোনো চিঠি নেই। তবে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে তিনি লিখিতভাবে জানাতে পারেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (লিংক যাবে) করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।