ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের উল্টোপিঠ

মাছুম বিল্লাহ |

কেন্দ্রীয়ভাবে এনসিটিবি থেকে শিক্ষার্থী নির্দেশিকা বা প্রশ্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ৩ জুলাই থেকে। বিষয় ও শ্রেণিভেদে খাবার বা টিফিনের বিরতি দিয়ে চার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টায় হচ্ছে এ মূল্যায়ন। যেমন অষ্টম ও নবম শ্রেণির জন্য পাঁচ ঘণ্টা এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য চার ঘণ্টায় হচ্ছে মূল্যায়ন। 

এবার মাসব্যাপী চলবে মূল্যায়ন কার্যক্রম। পরীক্ষার আগের দিন, গত ২ জুলাই রাতে ও ৩ জুলাই সকালে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর ছড়ানো হয় বিভিন্ন নামে বেনামে। সেই পুরনো ঘটনা! শিক্ষার্থীরা যদি এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন পান, তাহলে তো পড়ার টেবিলে বসবেন না, শ্রেণিকক্ষের কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করবে না-এমন মন্তব্য অনেকেই করেছেন এবং আমরাও বুঝি। যদিও এনসিটিবি থেকে বলা হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও বড় কোনো সমস্যা নেই। প্রশ্ন যেভাবে হয়েছে তাতে বিষয়টি ঠিক কিন্তু তারপরেও প্রশ্ন যারা আগে পেয়েছেন এবং যারা পাননি--এই দুই গ্রপের অবস্থা তো দুই রকম হবেই। প্রশ্ন যাতে আগেভাগেই ছাপা না হয় এবং এভাবে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য এনসিটিবি থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা গ্রুপে কাজ করে উপস্থাপন করছেন। আমরা যারা জীবনের একটি বড় অংশ শিক্ষক প্রশিক্ষণে কাটিয়েছি, তারা এই গ্রুপ ওয়ার্কের মাহাত্ম জানি। গ্রুপ ওয়ার্ক শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষার্থীদের জড়তা দূর করে, সহযোগিতামূলক মনোভাব বাড়ায়, সহমর্মিতা বাড়ায়, কথা বলার দক্ষতা বাড়ায়। কিন্তু গ্রুপ ওয়ার্কে সব সময়ই দেখা যায়, যারা ভালো পারফরমার তারাই পুরো বিষয়টিকে নিজেদের দখলে রাখে। অর্থাৎ অন্যান্য সহপাঠী বা সহকর্মীদের ওপর কর্তৃত্ব ফলায়। যারা একটু দুর্বল তারা কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন না। ফলে দুর্বল আরো দুর্বল হয়। কারণ, তাদের নিজেদের কিছু করতে হয় না, সহজেই ফাঁকি দেয়া যায়। গ্রুপে যারা এক্সট্রোভার্ট তারাই সবকিছু করেন। তারপরেও শ্রেণি কার্যক্রম কিংবা প্রশিক্ষণে একটা অংশ জুড়ে গ্রুপ ওয়ার্ক করাতে হয়। সেটি পুরো অ্যাসেসমেন্টের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উন্নয়ন এবং দোষত্রুটি ধরার অবকাশ তেমন থাকে না। আর বড় ক্লাস হলে তো কথাই নেই। আর একটি বিষয় হচ্ছে আমরা অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে যতো বেশি কথা বলি, শেখানো নিয়ে কিন্তু ততো কথা বলছি না। আমরা আসলে অ্যাসেসমেন্ট কী করবো! দক্ষতা তো দূরের কথা। আশি থেকে নব্বই শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে বই দেখে পড়তে পারছে না, এই চিত্র সরকারি-বেসরকারি, গ্রাম শহর সর্বত্র। এখানে আমাদের কাজ করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের মূল্যায়নের প্রশ্নপত্রে বলা হয়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠানের এক অংশে থাকবে আলোচনা সভা, আরেক অংশে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। টেবিলে টেবিলে ভাগ হয়ে আলোচনার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা উত্তর লিখবেন। এর ভিত্তিতে মূলত অনুষ্ঠানটি কীভাবে আয়োজন করা হবে, সেটি নিয়েই মূলত মূল্যায়নের প্রশ্নগুলো বা কী কী করতে হবে, তা সাজানো হয়েছে।

 

এতে তিনভাগে মূল্যায়ন কার্যক্রমটি করতে বলা হয়। প্রথম কাজ হিসেবে এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জোড়ায় আলোচনার ভিত্তিতে কাজগুলো করতে বলা হয়। যেমন-প্রথমে জানতে চাওয়া হয়, এ অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে এমন একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়। প্রথমে নিজে নিজে একটি তালিকা করে খাতায় লিখতে হবে। এরপর জোড়ায় থাকায় সহপাঠীর সঙ্গে আলোচনা করে নতুন কোনো ব্যক্তি খুঁজে পেলে তা খাতায় লিখতে বলা হয়। সর্বশেষ দুটি তালিকা একসঙ্গে করে একটি চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে হবে। তারপর এই তালিকা থেকে যে কোন একজন ব্যক্তির নাম বাছাই করতে হয়। তারপর বাছাই করা ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনের নমুনা তৈরি করতে হবে। তাতে সর্বনাম অনুযায় ক্রিয়া শব্দের মর্যাদা বজায় রাখতে হবে। এ ছাড়া তাতে বিবৃতিবাচক, প্রশ্নবাচক, অনুজ্ঞাবাচক ও আবেগবাচক বাক্য ব্যবহার করতে হবে। দ্বিতীয় কাজ হিসেবে শিক্ষার্থীরা কীভাবে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে চান, তা নিয়ে একটি ছোট অনুচ্ছেদ লিখতে হবে। অনুচ্ছেদও অন্তত পাঁচ শ্রেণির শব্দের ব্যবহার থাকতে হবে। এ ছাড়া অন্তত পাঁচ ধরনের যতিচিহ্নের ব্যবহার থাকতে হবে। এর ভিত্তিতে আরো কিছু বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দও জানতে চাওয়া হয়েছে। তৃতীয় কাজ হিসেবে বলা হয়, এই অনুষ্ঠান আয়োজন ঘিরে সাইনবোর্ড, পোস্টার, ব্যানার, আমন্ত্রণপত্র কিংবা বিজ্ঞাপনের মধ্য থেকে যেকোনো একটি নমুন লিখে খাতায় তৈরি করতে বলা হয়। কাজটি হবে একটি দলীয় কাজ। পাঁচজনের দলে কাজটি হবে। ভালো বিষয়টি হচ্ছে যে, না বুঝে মুখস্ত করে লেখার সুযোগ কম তবে দেখাদেখি করে লেখার সুযোগ অবারিত। যে সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে রাজী না এবং করেননি। শিক্ষকেরা তাই বলেছেন। শিক্ষকেরা যখনই বলছেন যে, দেখে লিখছ কেনো, উত্তর হচ্ছে স্যার/ম্যাডার আমরা আলোচনা করছি। গ্রুপ ওয়ার্কের ক্ষেত্রে এটিই হয়। এটি প্রকৃত অ্যাসেসমেন্টের সঙ্গে যায় না। 

ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজির প্রশ্ন Suppose, you are a member of the reading club at your school. You often meet your classmates to read and discuss books, magazines, newspapers etc. you and your classmates have just finished, reading a newspaper article on Living Green’. You are inspired and have decided to start a green movement. For that you have to complete the following task. 
Task-1: Get into groups of four and discuss what you may do to keep your community green. Note down the main points of your discussion.
Task-2: For your better understanding, another importing article on ‘Going Green’ is given here. Now read the article individually and complete the activity.  
এখান থেকে ৫টি adjective ও ৫টি noun বের করতে বলা হয়েছে। গ্রামারের পরীক্ষা এভাবে খারাপ না। এলাকায় গিয়ে কোনো লোকের সঙ্গে প্রশ্ন করে জানতে হবে তার এলাকার সবুজায়ন করতে কী কী করা লাগতে পারে। এটিও ভালো।

Kindness নামে একটি কবিতা দেয়া হয়েছে সেখানে থেকে রাইমিং ওয়ার্ড বের করতে বলা হয়েছে, কবিতাটি যদিও ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে নেই তারপরেও এটি ভালো। শিক্ষার্থীরা রাইমিং ওয়ার্ড তাদের বইয়ের কবিতা থেকে জানবেন এবং অন্য একটি কবিতা থেকে সেটি বের করবেন। 

আমাদের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ বিশ শতাংশ ছাড়া ইংরেজি বই দেখে পড়তে পারেন না। শব্দগুলো চেনেন না। তারা কী প্রশ্ন করবেন। মুখ দিয়ে একটি শব্দও বের করেন না। এটি কারুর দোষ নয় বা এই কারিকুলামের দোষ নয়। এটি ট্র্যাডিশনালি চলে আসছে। তারপর শিক্ষার্থীদের যেহেতু জানার বা পড়ার আগ্রহ নেই তাই ঠিকমতো ক্লাসেও আসেন না। ফলে, শিক্ষকেরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এই বিষয়গুলোতে আমাদের কাজ করার দরকার ছিলো। কিন্তু ইংরেজির বাংলা লিখে দিয়ে ইংরেজি শেখানো যাযনা আর ইএলটি’র নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীদের জোড়ায় জোড়ায় আলোচনা করা, গ্রুপে আলোচনা করার বিষয়টিও বেমানান। কারণ, তারা মুখ দিয়ে একটি ইংরেজি শব্দও বের করতে চায় না। কিসের জোড়ায় আলোচনা। এটি করেন যাদের বাস্তব ক্লাস সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। তারা শুধু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ইএলটি বিশেষজ্ঞরা যেভাবে বইয়ে লিখে দিয়েছেন হুবহু সেটি অনুসরণ করার জন্য বলেন। কিন্তু যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় এবং ইংরেজি পড়তে পারেন না তাদের ক্ষেত্রে কী করতে হবে এ ধরনের চিন্তা বা প্রকৃত গবেষণা আমাদের দেশে ইংরেজি নিয়ে যারা ডিল করেন না, তারা করেন না। তারা নির্ভর করেন শুধুমাত্র বিদেশি বিশেষজ্ঞরা যা করেন তার ওপর। 

পরীক্ষার আগের দিন পরীক্ষার্থীরা বলছে, আমরা যা পড়েছি তা আসবে কি না সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। কারণ, শিক্ষকরাও তাদের কাছে বিষয়টি ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারছেন না। কারণ, তারাও নাকি এই পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তেমন জানেন না। পরীক্ষায় বসলে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা মিলবে।’ এটিই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যে শিক্ষকেরা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তেমন জানেন না। শিক্ষকেরা কী করবেন? এতো নির্দেশনা, এতো পরিবর্তন, বারবার ট্র্যাক চেঞ্জ, শিক্ষকদের  তো খেই হারিয়ে ফেলারই কথা! দেখলাম অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন এই বলে যে, যা হবার তাই হবে, আমাদের এতো চিন্তা করে লাভ কী?  

কথা ছিলো, ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে, সবই করবেন শিক্ষকেরা। কিন্তু ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন শুরু হওয়ার পর দেখা গেলো শিক্ষক তো দূরের কথা, বোর্ডের হাতেও পরীক্ষা নেই। পুরোপুরি কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশ্ন করা হলো। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের টেনশন শুরু হলো এনসিটিবি থেকে প্রশ্ন আসবে, কী প্রশ্ন হবে, কী ধরনের হবে-সবার আগ্রহের শীর্ষবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম যে, বোর্ডের নির্দেশনায় বিদ্যালয়গুলো পরীক্ষা পরিচালনা করবে এবং বোর্ডকে নির্দেশনা দেবে এনসিটিবি। বোর্ডগুলো দেখলাম এখানে নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। প্রশ্নের ধরন বোর্ডকে এনসিটিবি জানাবে, বোর্ড বিদ্যালয়ে ধরন সরবরাহ করবে, শিক্ষকেরা বইয়ের বিভিন্ন শিখন অভিজ্ঞতা থেকে মূল্যায়ন করবেন। সব বোর্ড এখন এনসিটিবিতে! 

শিক্ষকেরাই বা কী করবেন? পরীক্ষায় কী আসবে তারা জানেন না, কী ধরনের প্রশ্ন হবে তারা জানেন না। পরীক্ষায় কী আসবে না আসবে এই টেনশন তো ছিলো পুরাতন শিক্ষাক্রম। তো হাসতে হাসতে পরীক্ষায় বসার কথা ছিলো। কিন্তু পরীক্ষা নিয়ে এতো টেনশন কেনো? কারণ, প্রশ্ন নিয়ে এক ধরনের সাসপেন্স তৈরি করা হয়েছে যা আগের টেনশনের চেয়ে কম নয়। কিন্তু পরীক্ষা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন তা হলো তাদের বই পড়ার তেমন দরকার নেই, ক্লাস করারও কোনো দরকার নেই। নিজের কোনো বিষয় যে ভালোভাবে জানতে হবে তারও দরকার নেই। কারণ, গ্রুপে বসে দু’একজন যা করছেন সবাই তা লিখলেই তো হয়। এগুলো আমাদের চিন্তা করা প্রয়োজন। 

লেখক: ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষক


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031099319458008