সংবাদপত্রকর্মীদের সর্বশেষ বেতন কাঠামো নবম ওয়েজ বোর্ডের (৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ) আয়কর ও গ্র্যাচুইটির বিধান মতে সংবাদকর্মীর আয়কর দেয়া এবং এক মাসের গ্র্যাচুইটি পাওয়া সংক্রান্ত বিধান কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য সচিব ও শ্রম সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
মন্ত্রিপরিষদের সুপারিশ অনুমোদন দিয়ে ওয়েজ বোর্ডের গেজেটের দ্বাদশ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, সব শ্রেণির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীদের বেতনের ওপর আরোপিত আয়কর সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক ও প্রশাসনিক কর্মচারীদের নিজ নিজ আয় থেকে দিতে হবে।
সব শ্রেণির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীরা প্রত্যেক বছর অথবা তার অংশ বিশেষ ছয় মাস বা এর বেশি সময় চাকরির জন্য সর্বশেষ প্রাপ্ত বেতনের ভিত্তিতে নির্ধারিত এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ আনুতোষিক (গ্র্যাচুইটি) হিসেবে প্রাপ্য হবেন।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেয়া রায় অনুযায়ী কর্তৃপক্ষকেই সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের কর্মচারীদের বেতনের ওপর আয়কর পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে আয়কর চাপানো হয়েছে সাংবাদিক ও কর্মচারীদের ওপর।
এছাড়া নবম মজুরি বোর্ডে সপ্তম অধ্যায়ে দুইটি গ্র্যাচুইটি দেয়ার কথা থাকলেও মন্ত্রিপরিষদের কমিটি একটি মূল বেতনের সমান গ্র্যাচুইটি দেয়ার সুপারিশ করেছে। এটি স্ববিরোধী বা সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) কর্মচারী মো. মাহবুবুজ্জামান এ রিট দায়ের করেন।