দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর নানাভাবে আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। যেকোনো মূল্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানুষের স্বাধীনতা, ভোটের স্বাধীনতা ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো। আমরা আপনাদের (গণমাধ্যম) সঙ্গে আছি, জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের লড়াই বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার লড়াই। গতকাল রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক মতবিনিময় সভায় রাজনৈতিক দলের নেতারা এসব কথা বলেন। সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ‘আক্রমণের মুখে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
নোয়াব সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, নিউএইজ সম্পাদক নূরুল কবীর, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক সংবাদের সম্পাদক আলতামাশ কবির, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ ও করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও প্রচার ও দাওয়াত বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম, এবি পার্টির আহ্বায়ক আবদুল ওহাব মিনার ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন ও যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসীর আলী, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাছির উদ্দীন পাটোয়ারী ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমাদ, বাসদের উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা যেকোনো মূল্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানুষের স্বাধীনতা, ভোটের স্বাধীনতা, জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি, জনগণের সঙ্গে আছি। এসময় সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণের নিন্দা জানান ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা বিবৃতি দিয়ে বিষয়গুলোর নিন্দা জানিয়েছি। গত ১৫ বছর সব সময় ভয়ে ছিলাম, আতঙ্কে ছিলাম। কখন কোন মুহূর্তে কী লেখার জন্য, কী বলার জন্য যারা পত্রপত্রিকায় লিখতেন তারা, আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের কখন কী বলার জন্য কারাগারে যেতে না হয়, মামলা না হয় এই বিষয়গুলো নিয়ে। আজকে এই সময়ে, এই বিষয়ে কথা বলতে হবে এটা আমি আগে কখনো ভাবিনি। বিশেষ করে ৫ই আগস্টের পর যখন আমরা সবাই মুক্ত একটা দেশে, ফ্যাসিস্ট মুক্ত একটা দেশে বাস করছি। দুর্ভাগ্য আমাদের, আজকে ৫৩ বছর পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরেও এই মিডিয়ার উপরে আক্রমণের বিষয় নিয়ে আমাদের কথা বলতে হচ্ছে। আমি গত পরশুও বলেছি, তার আগে আমি বিবৃতি দিয়েছি। যে আমরা এটার ধিক্কার ও নিন্দা জানাই। আমরা সব সময় মনে করি, আমাদের লড়াইটা বাকস্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য। আমি আমার কথা বলতে চাই, আমি আমার অধিকার প্রয়োগ করতে চাই, ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের। আজকে কিছু মানুষ জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিছু কথা বলা হচ্ছে যেগুলো পুরোপুরি নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বন্ধ করা দরকার। না হলে যে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে, আমাদের মানুষেরা প্রাণ দিয়েছে, তার সবটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে।
ফখরুল বলেন, একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা, হঠকারিতার দিকে যাওয়া, এই মুহূর্তে জাতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। আমরা বারবার এ কথা বলছি। আমরা যেন এমন কিছু না করি, আজকে যে পরাজিত ফ্যাসিস্ট পালিয়ে গেছে, ভারতে এবং সে নিরাপদ আশ্রয়েই আছে। সেখান থেকে কলকাঠি নাড়ছে যে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের আশা- আকাঙ্ক্ষাগুলোকে বাস্তব রূপ দেয়ার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেটিকে নস্যাৎ করার জন্য। এই বিষয়গুলো আমার মনে হয় আমাদের বেশি প্রয়োজন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি খুব নির্দ্বিধায় বলতে চাই প্রথম আলো, ডেইলি স্টার আমার সংবাদ না প্রকাশ করলেও তাদের সাংবাদিকতার মান যদি ভালো হয় তাহলে আমি তাদের সমর্থন করবো।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, গত ১৫ বছর আমরা গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছি। সংবাদপত্র স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিকশিত হতে পারে না রাষ্ট্র হিসেবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে স্বাধীন সাংবাদিকতা। এজন্য রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ সংবাদপত্র-গণমাধ্যম যদি শক্তিশালী না হয় তাহলে গণতন্ত্র কোনোদিন শক্তিশালী হবে না। তিনি বলেন, এটা একটা শিল্প। এই শিল্পের বিকাশ না হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা কোথায় থেকে আসবে এবং গণতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এ জায়গায় আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট যে, সত্যিকার গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা আমরা চাই তাহলে অবশ্যই স্বাধীন সাংবাদিকতার নিশ্চয়তা রাষ্ট্র ও সরকারকে দিতে হবে। কারণ গণমাধ্যম রাষ্ট্র এবং জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। সেই জায়গায় গণতন্ত্রের সঙ্গে স্বাধীন সাংবাদিকতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সেটাকে দুর্বল করে আমরা কোনো শক্তিশালী গণতন্ত্র চাই। আমি এটাকে দেখি ষড়যন্ত্র হিসেবে। রাষ্ট্রকে দুর্বল করার একটু পাঁয়তারা হিসেবে। এটাকে দেখতে চাই আমাদের গণতন্ত্রের পথে যাত্রা পথে বাধা সৃষ্টি করার একটি নতুন ষড়যন্ত্র হিসেবে। যেটা পুরাতন ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার পথকে উন্মুক্ত করবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তিনটা দিক থেকে পক্ষপাত্রদুষ্ট। সেটি হচ্ছে আদর্শ, রাজনীতি ও ব্যবসায়ীক দিক থেকে তারা পক্ষপাত্রদুষ্ট। এভাবে চলতে থাকলে স্বাধীন গণমাধ্যম বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। এ তিনটি জায়গা থেকে বের হয়ে যদি আমরা সবাই স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারি তাহলে আগামীতে এ সমস্যার সমাধান করতে পারবো বলে আমরা আশা করি। তিনি বলেন, আমাদের সংবাদমাধ্যমে ব্যবসায়ী বা উচ্চশ্রেণির মানুষের সংবাদ যেভাবে জায়গা পায় সেভাবে খেটে খাওয়া মানুষের সংবাদ জায়গা পায় না। সে জায়গা থেকে আমরা হতাশ। অন্যদিকে আন্তর্জাতিকভাবে ভারতসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে মিস ইনফরমেশন ছড়ানো হচ্ছে সেগুলোর বিরুদ্ধে যতই বিভাজন থাকুক না কেন কতোটুকু আমরা কাউন্টার করতে পেরেছি সেটা আমরা আমাদের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবো। আমরা সব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, মালিকপক্ষ, গণমাধ্যমকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা রয়েছেন সবাই যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি তাহলে হয়তো এ ধরনের অরাজকতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হয় সেগুলো থেকে একটি জায়গায় যেতে পারবো। ভারত এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের যে সংঘবদ্ধ আক্রমণ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ওপর প্রতিনিয়ত চলছে সেগুলো আমরা যদি প্রতিহত করতে পারি তাহলে বাংলাদেশ প্রশ্নে যে অস্তিত্ব আছে, আমাদের অস্তিত্ব ও বেঁচে থাকার অস্তিত্ব একই সঙ্গে সুষ্ঠু এবং সুন্দর একটি বাংলাদেশ আমরা দেখতে পারবো। এ লড়াইয়ে আমরা হেরে গেলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। একই সঙ্গে আমরা সবাই একটা স্থানে আসি যে বাংলাদেশে আর কোনো সংবাদপত্রের ওপর আক্রমণ হবে না। যেখানে আক্রমণ হবে সেখানে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবো।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজিপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, এ সরকার দুর্বল সরকার। জনগণের সরকারই জবাবদিহিমূলক সরকার। আপনারা (গণমাধ্যম) যদি সত্যি নিরাপত্তা চান তাহলে আপনাদের এই ক্যাম্পেইনটা শুরু করতে হবে সরকারের সঙ্গে যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে আপনারা ক্ষমতাটা দিয়ে দেন। এটাই সমাধান। তিনি বলেন, গণমাধ্যমও বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়ায় ছিল। দুর্বল অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তা মিলবে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, কোনো গণমাধ্যম অফিসের সামনে গরু জবাই করা ফ্যাসিস্টদের পথ অনুসরণ করার শামিল।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ছিল বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলা। গণমাধ্যম কমিশন ও নোয়াবের পক্ষ থেকে সমাধান আসা উচিত। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ চলছে। এটি রুখে দিতে হবে। সরকার বা সরকারের সমর্থকরা মদত দিচ্ছে কিনা, তা-ও প্রশ্নাতীত নয়।
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ১৫ বছর স্বৈরশাসনের সময়ে সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতাকে ধ্বংস করার যেসব প্রক্রিয়া চলেছে সেগুলোর আমরা একটা ইতি চাচ্ছি। এগুলো যেন বাংলাদেশে আর না হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকে নবরূপে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সংবাদপত্রের ওপর যে আক্রমণ হচ্ছে এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং শঙ্কাজনক। আমরা মনে করি রাজনৈতিক দল হচ্ছে স্বাধীন সাংবাদিকতার বিরাট সহায়ক শক্তি। যারা রাজনীতি করবেন তারাও উপলব্ধি করবেন যে, আপনাদের সহায়ক শক্তি হচ্ছে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের নিরবচ্ছিন্ন একটা পরিবেশ। সে আকাঙ্ক্ষা থেকে আপনাদের ডাকা ও বলা যে স্বাধীন সাংবাদিকতা আজ হুমকির মুখে এবং আপনাদের সাহায্য আপনাদের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে কাজ করে আসছি। গত সরকারের তিনটি নির্বাচন যে একেবারে অগ্রহণযোগ্য ছিল সেগুলোও আমরা কিন্তু আমাদের এডিটরিয়ালের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। সামনে যে নির্বাচন হবে নতুন যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ আসবে সেখানেও সংবাদপত্র সম্পূর্ণরূপে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য গণতান্ত্রিকীরণের যে প্রক্রিয়া সেখানে আমরা থাকবো। রাজনৈতিক দলের মত প্রকাশের বিহিক্যাল হিসেবে থাকবো। আপনাদের মত প্রকাশ করবো। আবার সমালোচনাও করবো। কারণ সমালোচনা করতে দেয়নি বলে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। সে যদি সমালোচনামূলক মতামত নিতো তাহলে সে হয়তো উপকৃত হতো।
স্বাগত বক্তব্যে নোয়াবের সভাপতি একে আজাদ বলেন, আমরা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাহায্য ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। দেশের এই সংকটময় সময়ে আমরা আশা করছি- রাজনৈতিক দলগুলো যার যার অবস্থান থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। তিনি বলেন, দেশের ছাত্রসমাজ, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের কাছ থেকেও আমরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ, সহযোগিতা ও সমর্থন আশা করি। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের স্বার্থে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারে তারা সোচ্চার থাকবেন- সেটাই প্রত্যাশিত।