খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, গবেষণার লক্ষ্যে সমস্যা কিভাবে খুঁজে বের করা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে। বিশেষ করে দৈনিক সংবাদপত্রে প্রতিটি পাতায়ই সমস্যার সংবাদ পাওয়া যায়। সেখানে মনযোগ সহকারে দেখতে হবে কি কি বিষয় নিয়ে গবেষণা করা যায়। এখান থেকে আমরা গবেষণা সমস্যা খুঁজে পেলে গবেষণার বিষয়বস্তুও পেয়ে যাবো।
গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন (বিএ) ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের ‘রিসার্চ মেথডস এন্ড থিসিস রাইটিং’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য আরও বলেন, জ্ঞান তখনই পরিপূর্ণতা লাভ করবে, যখন তার ওপর কোনো গবেষণা থাকবে। ব্যবসায় প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের গবেষণার ক্ষেত্রটা একটু ভিন্ন। তবে এর প্রতিটি জায়গায়ই গবেষণার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এখন গবেষণার পাশাপাশি প্রকাশনার দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যদি রিসার্চ মেথডস এবং থিসিস লেখা শিখতে পারে তা গবেষণার জন্য হবে গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, নিজেদের মধ্যে স্টাডি গ্রুপ তৈরি করতে হবে। এর ফলে যথাযথভাবে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। নতুন নতুন সৃষ্টিশীল আইডিয়া বের হয়ে আসবে। সময়ের সাথে আমাদের অর্থনীতি, দৃষ্টিভঙ্গি ও সামাজিকতার পরিবর্তনের সাথে মিল রেখে রিসার্চ আইডিয়া খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের গ্রাজুয়েটদের প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার অনেক ঝোঁক রয়েছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভর্তিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ আগ্রহ রয়েছে। এই গতিশীল অবস্থা আমাদের উদ্ভাসিত করে। এই অবস্থান আমাদের ধরে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নুরুন্নবী। ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. এস এম তৌহিদুর রহমান। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ৭টি ভিন্ন বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন প্রফেসর ড. মো. নুরুন্নবী, প্রফেসর ড. তরুন কান্তি বোস, প্রফেসর ড. মো. নূর আলম, প্রফেসর শেখ শারাফাত হোসেন এবং সহযোগী অধ্যাপক এস এম আরিফুজ্জামান। এসময় ডিসিপ্লিনের শিক্ষক এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।