রহস্যজনক হয়রানির শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। ঘটনাটিকে খুবই আতঙ্কজনক উল্লেখ করে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনী প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোহেল তাজ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘এইভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা। এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে।’
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আজকে (বুধবার) রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বলা হলো তা তাকে জিজ্ঞেস করি। প্রতিউত্তরে আমাকে বলেন, তাদের লোক আসছে। আমাকে তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সোহেল তাজ লিখেছেন, আমি আবারও তার পরিচয় জানতে চাইলাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি আমাকে চিনতে পেরেছেন কিনা। জবাবে বললেন, আমি আপনাকে চিনি, আপনি সোহেল তাজ। তারপর মোবাইল ফোনে বললেন, তিনি আমাকে থামিয়েছেন এবং অবস্থান জানিয়ে তাদের আসতে বললো। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম। কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। কোনো উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বললো, তারপর আমাকে বললো চলে যেতে। আর তিনিও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেলেন।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও লিখেছেন, তার কথা বলার ধরন এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট তিনি কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি করা না হয় সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা। এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে। ছি ছি!
শেষে তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন। ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেটের প্রবেশ পথের হাই রেজুলেশন ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই ধরা পড়বে কে এই মোটরসাইকেল আরোহী। সময় রাত ১০টা ৫০ মিনিট থেকে ১১টা। আমার গাড়ি এই সময়ের মধ্যে প্রবেশ করে এবং পেছনেই এই মোটরসাইকেল আরোহী ছিল।’