জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুকে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়েছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
মানবন্ধনে ১১ দফা দাবি তুলে ধরে তা বাস্তবায়নে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জানা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতীয় সংসদ থেকে নিয়ম বহির্ভূত ও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আয়োজিত ওই মানববন্ধনে চাকরিচ্যুত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
এ সময় নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে কাজী তৌহিদুজ্জামান রাজু বলেন, অনির্বাচিত সংসদের অবৈধ স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অপসারণের দাবিতে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। উনি একজন দুর্নীতিবাজ। স্পিকারের আশপাশে যত কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে, সকলেই দুর্নীতি ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। তাদের লুটপাটের কারণে সংসদ এখন দেউলিয়ায় পরিণত হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, স্পিকার অবৈধভাবে অসংখ্য নিয়োগ দিয়েছে। অবৈধভাবে ঠিকাদার দিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে। তার সঙ্গে অবৈধভাবে আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অনেককে তারা চাকরি দিয়েছেন। তারা এখন উপসচিব ও যুগ্মসচিব পর্যায়ে চলে গেছেন। তাদের চাকরির কোনো ভিত্তি নেই। অথচ নিময়তান্ত্রিকভাবে চাকুরি পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংসদ সচিবালয় থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। তাই এই মুহূর্তে পলাতক স্পিকার ও তার সহযোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জরুতি ভিত্তিতে অপসারণ করতে হবে।
মানববন্ধনে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশ ও তাদের সংসদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, জাতীয় সংসদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ, সকল প্রকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও আত্মীকরণ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি, বর্তমান স্পিকারের আমলের সকল নিয়োগ বাতিল ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুনঃনিয়োগের ব্যবস্থা, অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল, নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাযথভাবে পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং দুর্নীতি করে উপার্জিত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা ও অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।