সকালে আয়েশ করে ঘুমাতে কার না ভালো লাগে? সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতেই যেন ইচ্ছা করে না। তবে দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে কাজের সমস্যার পাশাপাশি স্বাস্থ্যেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় ঘুম ভেঙে অফিস কিংবা ক্লাসে গেলেও ঘুমের রেশ কাটে না। এটা কাজের ক্ষতি কমিয়ে দেয়। তবে সহজ কিছু কৌশল মানলেই সকালে অলসতা কাটানো সম্ভব। এভরিডে হেলথে এমন কিছু কৌশল উঠে এসেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠতে এই কৌশলগুলো মানতে পারেন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাবেন এবং সকালে অ্যালার্ম সেট করবেন একই সময়ে। এমনকি কাজ না থাকলেও একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করবেন। এতে শরীর অভ্যস্ত হয়ে পড়বে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর জন্য ও জেগে ওঠার জন্য।
রাতে ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন। অথবা লিখতে পারেন ডায়েরি।
যখন ঘুম থেকে উঠতে চান তার অন্তত ২০ মিনিট আগে অ্যালার্ম সেট করুন। এতে করে সকালে অফিস কিংবা ক্লাস থাকলেও সময় মত উঠতে পারেন।
ভোরে ঘুম থেকে ওঠাকে বাধ্যবাধকতা হিসেবে দেখবেন না। বরং সকাল সকাল বিছানা ছাড়তে পারলে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে সন্ধ্যায় বা বিকেলে পছন্দের কাজে সময় ব্যয় করতে পারবেন- এভাবে ভাবুন।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ৫ মিনিটের জন্য মেডিটেশন করুন অথবা প্রার্থনা করুন। এতে করে আপনি ব্যস্ত হয়ে যাবেন। আর যত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে নিজেকে ব্যস্ত করবেন ঘুম কেটে যাবে।
রাতে ঘুমাতে গিয়ে টিভি দেখবেন না কিংবা ফোন ব্যবহার করবেন না। এতে রাতে ঘুমাতে সমস্যা হবে আর ফলাফল হিসেবে সকালে উঠতে পারবেন না।
সন্ধ্যার পর কফি বা চা পান করবেন না। কারণ এতে ক্যাফেইন থাকে যেটা আপনার রাতে ঘুম আসতে বাঁধা দেবে।
ভোরে ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে জানালা-দরজার পর্দা সরিয়ে দিন। দিনের আলো শরীরে লাগান। ঝরঝরে লাগবে নিজেকে।