মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ভূয়া সনদে আয়া পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নাজমা আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। জেলা শিক্ষা অফিসে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন ম্যানেজিং কমিটির দুজন সদস্য।
অভিযুক্ত নাজমা আক্তার উপজেলার ফয়জুন নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত আয়া। তিনি উপজেলার বরাইদ এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে এবং বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান খান মজলিশের বাড়ির কর্মচারী মানিক মিয়ার স্ত্রী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নাজমা আক্তার পার্শ্ববর্তী কলিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর লাভলু মিয়াকে ম্যানেজ করে একটি সনদ নেয়।
লাভলু মিয়া জানান, ফয়জুন নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সাগর আলী তাকে সনদ দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। গামের্ন্টসে চাকরি করবে বলে এই বলে নাজমা আক্তারের জন্য সনদ নেওয়া হয়েছিলো।
ফয়জুন নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক বলেন, নাজমা আক্তারের সনদ জাল কি না আমার জানা নেই। জাল প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান খান মজলিশ বলেন, আসলে নাজমা আক্তার আমার বাড়ির কর্মচারীর স্ত্রী। সে খুব গরীব মানুষ।
মানিকগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা জাহান বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।