স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সব আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জন থেকে আজ পর্যন্ত যা কিছু বাংলাদেশের অর্জন হয়েছে তার পেছনে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য অবদান রয়েছে।
শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের ৪র্থ দিনের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এখনকার তরুণ প্রজন্ম যারা দেশের জন্য অবদান রাখছেন তাদের সিংহভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ভবিষ্যতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে নিজেদের কর্মগুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রাখবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তির থিম সং পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলোচনা পর্বের সূচনা করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহাদত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা রাশেদা কেবচৌধুরী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া অংশগ্রহণ করেন ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আলোচনা পর্ব উপভোগ করেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সর্বদা মুক্তচিন্তা ও মুক্তিবুদ্ধির চর্চা করে নিজেদেরকে আলোকিত করেছেন এবং সমাজ, দেশ ও জাতিকে আলোকিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও অনাগত শিক্ষার্থীদের এই আলোয় আলোকিত হওয়ার জন্য এসব চর্চা অক্ষুন্ন রাখতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সাথে যোগসূত্র রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করি। ষাটের দশকে এই ক্যাম্পাসে এসে আমি বঙ্গবন্ধুকে চিনেছি, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রাম-নেতৃত্ব দেখেছি এবং বাংলাদেশকে চিনেছি। প্রত্যেকটি আন্দোলন-সংগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আগামীতেও তারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।
আলোচনা শেষে দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।