রোড ম্যাপ তৈরি করে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী।
তিনি বলেছেন, নতুন যে কারিকুলাম আছে, এ কারিকুলাম বাস্তবায়নের মূল কারিগর, হাতিয়ার হলেন মাধ্যমিকের শিক্ষকরা। এখন আমাদের শিক্ষকদের যদি আমরা সমস্যা থেকে বের করে আনতে না পারি, তাদের যে সব সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য সেগুলো না দিতে পারি তাহলে আমরা যা আশা করছি সেটা পরিপূর্ণভাবে হয়তো আদায় করতে পারবো না। এ কারণেই আমরা মনে করি, মাধ্যমিকের শিক্ষকদের হতাশার জায়গাগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে দূর করা জরুরি।
সম্প্রতি দৈনিক আমাদের বার্তাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, মাধ্যমিকে প্রায় ২২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেগুলোর ৯৫ শতাংশই বেসরকারি। এই বিপুল সংখ্যক সেবা প্রত্যাশীদের সামলান কিভাবে? সবাই কী আপনার দপ্তর অবধি পৌঁছুতে পারে? দায়িত্ব নেয়ার পর গত তিন মাসে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? তার কাছে আরো জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে যখনই নতুন কারিকুলাম হয়েছে তখনই বিরোধিতা হয়েছে। প্রথমে বিরোধিতা করেছেন সিনিয়র শিক্ষকরা, তারপর অভিভাবকরা। তবে, নবীন শিক্ষকরা সব সময় স্বাগত জানিয়েছেন। এবারও সেটাই দেখা গেলো। এই নতুন কারিকুলামের সম্যক ধারণা শিক্ষকরা কতোটা পেলেন? এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেল দেয়ার উদ্যোগ, পদোন্নতি, বদলি, ইএফটি, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়েও কথা হয় তার সঙ্গে।
মাধ্যমিক শাখার পরিচালক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, শিক্ষকদের টাইমস্কেল আমরা আইন শাখার মতামত নিয়ে প্রস্তুত করতে যাচ্ছি। শিক্ষকদের, সহকারী শিক্ষকদের চার পাঁচশর মতো আমরা পদায়ন দিয়েছি। যেটা আটকে ছিলো, স্টে মামলার জন্য। মাধ্যমিকের যেটা সমস্যা সেটার অন্যতম একটা হলো- বেশিরভাগ জায়গায় পদায়ন স্থগিত ছিলো মামলার জন্য, আমরা মামলার স্টে ভ্যাকেট করিয়ে দ্রত পদায়ন করে দিয়েছি। নিয়োগ বিধিমালার জন্য আমরা অনেকগুলো মিটিং করেছি এবং একটা খসড়া চূড়ান্ত করেছিলাম। এই চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে আরো মিটিং করা দরকার। টাইমস্কেল নেয়ার জন্য আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রাপ্য শিক্ষকদের তথ্য চেয়েছি, সেটা প্রক্রিয়াধীন আছে। এ ছাড়াও পদোন্নতির জন্য মামলা রয়েছে। এই মামলা শুনানি করে কীভাবে পদোন্নতি দ্রুত দেয়া যায় আমাদের সে কার্যক্রমেরও প্রক্রিয়া আছে।
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় আমাকে এ দায়িত্বে এনেছেন। বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়োগকেন্দ্রীক কিছু জটিলতা আছে। সেগুলো সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেবা নিতে আসা মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রতি সৈয়দ জাফর আলী বলেন, সবার জন্য তার দরোজা খোলা।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।