আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুদে ডাক্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুলে-স্কুলে খুদে ডাক্তারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে খুদে ডাক্তারের দল গঠন করা হবে। খুদে ডাক্তারের দল শিক্ষার্থীদের ওজন, উচ্চতা ও দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষা করে অস্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধি, দৃষ্টি শক্তির ত্রুটিসহ নানা বিষয় গাইড শিক্ষকের নজরে আনবেন।
খুদে ডাক্তারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে মাঠ পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের অধীনে গত ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৫ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুদে ডাক্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছিলো।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো চিঠিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, আগামী ৫ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুদে ডাক্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পালনের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং প্রধান শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার জন্য বলা হলো।
চিঠিতে এ কার্যক্রম নিয়ে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে অধিদপ্তর বলছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা প্রধান শিক্ষকদের ৫ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুদে ডাক্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পালনের জন্য নির্দেশ দেবেন। সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা নিজ নিজ ক্লাস্টারের বিদ্যালয়গুলোতে কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালনের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তত্ত্বাবধান করবেন। জেলা-উপজেলার সব কর্মকর্তাকে দৈব চয়নের ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলোতে এ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করতে হবে। শিক্ষকরা যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে উভয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিদ্যালয়ের সব সহকারী শিক্ষককে এ কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গঠিত খুদে ডাক্তারদল তাদের জন্য নির্ধারিত শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর ওজন, উচ্চতা ও দৃষ্টি শক্তি পরিমাপসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে তা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফরমে লিপিবদ্ধ করবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে এই খুদে ডাক্তার দল কোনো শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধিসহ দৃষ্টি শক্তিতে ত্রুটি কিংবা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফরমে উল্লেখিত অন্যান্য বিষয়ের তথ্য গাইড শিক্ষকের নজরে আনবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া ছকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রমের তথ্য স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সরবরাহ করতে হবে এবং এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করতে হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।