একজন প্রেসিডেন্ট ঠিক কতক্ষণ কাজ করে থাকেন? এমন প্রশ্ন হয়তো সবার মনেই উঁকি দেয়। তিনি কী ৯টা-৫টার গৎবাঁধা সময় মেনে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন নাকি তার কাজ সবসময়। বছরের প্রতিদিনই কি তিনি অফিস করেন নাকি অন্য সবার মতো তারও রয়েছে কোনো সাপ্তাহিক বন্ধ?
আর তিনি যদি হন আমেরিকার মতো কোনো পরাশক্তির প্রেসিডেন্ট তবে দম ফেলার সুযোগ কীভাবে পান এমন প্রশ্নও হয়তো উঁকি দিতে পারে আপনার মনে। কিন্তু হ্যাঁ আমেরিকার প্রেসিডেন্টও ছুটি কাটান। কিন্তু কতদিন তা জানলে আপনার চোখ কপালে উঠবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জো বাইডেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের ৫৩২ দিনই ছুটি কাটিয়েছেন। মার্কিন ইতিহাসে কোনো প্রেসিডেন্টই এত বেশি ছুটি কাটাননি। প্রায় চার বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এর মধ্যে ৪০ শতাংশ সময়ই তিনি ছুটি কাটিয়েছেন।
সম্প্রতি রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১ হাজার ৩২৬ কার্যদিবসের মধ্যে ৫৩২ দিনই ছুটিতে ছিলেন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এত ছুটি এর আগে কোনো প্রেসিডেন্টই কাটাননি বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
একজন মার্কিন কর্মী গড়ে বছরে ১১ দিন ছুটি পেয়ে থাকেন। সেই হিসাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাধারণ একজন কর্মীর তুলনায় প্রায় ৪৮ বছরের সমান ছুটি কাটিয়েছেন। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতাকালীন সময়ের ২৬ শতাংশ সময় ছুটিতে ছিলেন, আর বারাক ওবামা দুই মেয়াদে মাত্র ১১ শতাংশ সময় ছুটিতে ছিলেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি বাইডেনকে ডেলাওয়্যারের সমুদ্রসৈকতে অবকাশযাপন করতে দেখা যায়। সমালোচকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বজুড়ে যখন নানা ইস্যুতে আগুন জ্বলছে তখন সমুদ্রসৈকতে চেয়ারে হেলান দিয়ে আরাম করে ঘুমাচ্ছেন বাইডেন- এই দৃশ্যটিই এক সময় তার ‘ক্ষমতার প্রতীক’ হয়ে দাঁড়াবে।
এ ছাড়া মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সীমান্তে উত্তেজনা বা বিশ্বজুড়ে চলমান অস্থিরতা নিয়ে বাইডেন কখনোই মাথা ঘামাননি বলেও মন্তব্য করেন তারা। যদিও জো বাইডেনের সহযোগীদের দাবি, ছুটিতে থাকলেও কাজ করেন বাইডেন। এ ছাড়া সবসময়ই তাকে ফোনে পাওয়া যায়।