দৈনিক শিক্ষাডটকম, ফরিদপুর: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগের আগেই বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। এমনকি নতুন কমিটির জন্য তফসিলও ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। তড়িঘড়ি করে নিয়োগ সম্পন্ন করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, পরিচ্ছন্নকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগের লক্ষ্যে আগামীকাল শুক্রবার সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দিন ধার্য্য করা হয়েছে। নিয়োগের জন্য ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পরপর তিনবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজশে প্রার্থীদের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করেছেন। নিয়োগ পরীক্ষায় যারাই ভালো রেজাল্ট করবে তাদের থেকে সভাপতি-প্রধান শিক্ষক চাহিদা অনুযায়ী অর্থ নেবেন। চাহিদানুযায়ী অর্থ না পাওয়ায় কয়েকজন প্রার্থীর থেকে নেয়া অর্থও ফেরত দিয়েছেন।
ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আরব আলী অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাদের নিয়োগ বোর্ড ও নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ সম্পর্কে কোনো কিছুই অবগত করেননি। মিটিং ছাড়াই গোপনে আগে থেকে প্রধান শিক্ষক তিন পদে ২৩ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে এখন নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা উচিত। অভিযুক্ত দুইজন গোপনে নিয়োগ দিচ্ছে। আমার জানা মতে প্রধান শিক্ষক তার আপনজন দিয়ে একজনের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে নিয়েছিলেন। অন্য জায়গায় বেশি পেয়ে তার টাকা ফেতর দিয়েছে। সভাপতি-প্রধান শিক্ষক মিলেমিশে স্কুলটি ধংস্ব করার পাঁয়তারা করছেন।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যে কেউ অভিযোগ করতেই পারেন। নিয়োগ বিধি মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হচ্ছে। তা ছাড়া ল্যাব অপারেটর ৪, আয়া ১৩ ও পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে ৪ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নাজিমুদ্দিন আহমেদ রন্জু জানান, একটি মহল স্কুল এবং কমিটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এগুলো করছে। নিয়োগ কার্যক্রমের জন্য কোনো অর্থের লেনদেন হয়নি। যদি লেনদেন হয়ে থাকে তাহলে অভিযোগকারীরা সেটার প্রমাণ দিক।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।