গোপালগঞ্জে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ফুফাতো ভাই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় নিয়োগ শিটে স্বাক্ষর না করে মৌখিকভাবে পরীক্ষা বাতিল করেছেন সভাপতি। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত পাঁচ জনের মধ্যে চারজন স্বাক্ষর করলেও কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন তনু নিয়োগ শিটে স্বাক্ষর না করে পরীক্ষা বাতিল করেন। এমনটা ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সুকতাইল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষায়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সোহানুর শেখসহ স্থানীয়রা।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়টির নৈশপ্রহরী পদের নিয়োগ পরীক্ষা গোপালগঞ্জ এসএম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন তনু, ডিজির প্রতিনিধি এসএম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখায়েত হোসেন, শিক্ষা সচিবের প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: সেলিম তালুকদার, অভিভাবক সদস্য শেখ মফিজুর রহমান এবং সদস্য সচিব ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে নিয়ে নিয়োগ কমিটি গঠিত হয়। কমিটি সব নীতিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করে। লিখিত পরীক্ষায় নৈশপ্রহরী পদে ৯ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: সেলিম তালুকদার বলেন, সব নীতিমালা অনুসরণ করে নিয়োগপরীক্ষা সম্পন্ন হয়। কয়েকজন প্রার্থীর সনদপত্র সঠিক না থাকায় তাদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি। সভাপতির পছন্দের প্রার্থী নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ বঞ্চিত হওয়ায় তিনি চূড়ান্ত নিয়োগ সিটে স্বাক্ষর না করে চলে যান।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন তনু অভিযোগ করে বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: সেলিম তালুকদার নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম করেছেন। এক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় সাড়ে ২৭ নম্বর পাওয়ার পরও তার সনদপত্রে ত্রুটির অভিযোগ এনে তাকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেননি শিক্ষা অফিসার। শিক্ষা অফিসারের পক্ষপাতিত্বের কারণে মৌখিকভাবে পরীক্ষা বাতিল করে আমি চলে আসি।