টাঙ্গাইল জেলা সমবায় ব্যাংকের সভাপতি কুদরত-ই-এলাহি খান নিজের বিরুদ্ধে ওঠা ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে ব্যাংকটির টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অনুসন্ধানে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য জানান তিনি।
কুদরত-ই-এলাহি বলেন, এর আগেও এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হয়েছে। স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এ বছরের ৩০ মার্চের সভায় ১৫ নম্বর এজেন্ডায় ৯৯ পৃষ্ঠা তদন্ত রিপোর্ট এবং গত চার বছরের সরকারি অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের কোনো প্রমাণ পায়নি। এই গুরুত্বপূর্ণ নথিটি জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদীয় কমিটির সভাপতি দপ্তরে এবং সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালকের কাছে আছে।
তিনি বলেন, রিটকারী রাহেলা জাকির সমবায় ব্যাংকের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও সরকারের অনুমোদিত উন্নয়নমূলক কাজকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নিম্ন আদালত থেকে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ পর্যন্ত মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মোট ৮৪টি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এই রাহেলা জাকিরের সমবায় মার্কেটে কোনো দোকান নেই। তিনি ১৫৫ জন পুরাতন দোকানদারের আহ্বায়ক সেজে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দোকান বরাদ্দ সংক্রান্ত আপিল নম্বর ১৫৫-১৫৬/২০১৮ এর রায় ও আদেশ আমার পক্ষে হওয়ায় রাহেলা জাকির মিথ্যা দুর্নীতির কথা প্রচার করছেন। ইতোপূর্বে সমবায় ব্যাংকের ম্যানেজিং কমিটির আমিসহ সব সদস্যদের বিরুদ্ধে তিনি ৪৭টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। সবগুলো মামলা ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ হয়েছে। মামলায় পরাজিত হয়েই উনি এই বানোয়াট দুর্নীতির কথা প্রচার করছেন।