সমাপনী পরীক্ষা তুলে না দেয়ার ইঙ্গিত গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এখনই বাতিল করা হচ্ছে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) চলতি বছরে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ইঙ্গিত দেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, 'প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় আমরা পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি। এটা একটু সহজ করা যায় কীভাবে, যাতে (শিশুদের) টানা-হেঁচড়া না থাকে।' যদিও সরকার ঠিক কী ধরণের পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

গত একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে কথা বলেছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, 'প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা তুলে দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেননি। আমরাই বিভিন্ন মহলের মতামত প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছিলাম। আমাদের কাছে অভিভাবকরা বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তোলেন, তারা আমাদের পরীক্ষাটি তুলে দেয়ার জন্য বলছেন।'

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর কথা হল, এখানে কোমলমতি শিশুদের একদিকে মেধার বিকাশ, মননশীলতা, ধৈর্য্য পরীক্ষা দিচ্ছে। তাদের মাঝে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছি। আমরা যখন পড়েছি, তখনও কিছু পরীক্ষা ছিল প্রাইমারিতে। যারা বৃত্তি পরীক্ষা দিত, স্যাররা তাদের নিয়ে আলাদাভাবে ড্রাইভ দিত, তারা যাতে ভাল করে। আমরা সবার বেলায় সমান করছি, একটি পরীক্ষা থাকা দরকার বলে আমরা মনে করি। কারণটা হল, তাদের মাঝে একটা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবও গড়ে তোলা সম্ভব এই পরীক্ষাটার মাধ্যমে।'

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'কিন্তু মায়েরা এত বেশি টানাটানি করে জিপিএ-টিপিএ নিয়ে। আমরা চিন্তা করছি পরীক্ষাটা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও কথা হল এটার বিশেষ কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা। পরীক্ষা রাখা হবে। এই পরীক্ষাটা উনি (প্রধানমন্ত্রী) রাখতে চাচ্ছেন। এটা একটু সহজ করা যায় কীভাবে, যাতে (শিশুদের) টানা-হেঁচড়া না থাকে।'

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে থেকে পরীক্ষাটা চালু করেন, এই পরীক্ষাটা আজও আছে। আমরা কিছুটা হয়তো পরিবর্তন করতে চাচ্ছি।'

এদিকে গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কম হওয়ার দুই রকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিদায়ী মহাপরিচালক। 

প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এবার কোনোরকম দুর্নীতি করার সুযোগ দেয়া হয়নি। তাছাড়া প্রতিবছর একইরকম ফল কেন হবে। বৃদ্ধি হবে আবার কমবে এটাই তো স্বাভাবিক। 

অপরদিকে মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির বলেছেন, এবার এক উপজেলার খাতা মূল্যায়ন করেছেন অন্য উপজেলার শিক্ষকরা। এটাও পাসের হার কমার কারণ।  


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা - dainik shiksha চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? - dainik shiksha স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার - dainik shiksha কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025389194488525