মাদরাসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে দাখিল পরীক্ষা দিতে পারছে না ১৫ শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের সিদ্দিকীয়া আকবর (রাঃ) লতিফিয়া দাখিল মাদরাসায়।
সুপারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে ৪ দিন ধরে মাদরাসা সুপার আত্মগোপন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে দোহালিয়া ইউনিয়নে এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় মাদরসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ বছরে এই মাদরাসা থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সময়মতো প্রবেশপত্র না দেয়ায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে না পেরে এখন চরম হতাশায় পড়েছে। এদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী খাওয়া-ধাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের অভিভাবকরা।
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়মতো তারা ফি পরিশোধ করে রেজিস্ট্রেশন করলেও অত্র মাদরাসা সুপার মাওলানা আবদুল মুকিত চরম গাফিলতির কারণে এবার দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। একটি বছর নষ্ট করে তিনি এখন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
মাদরাসার সুপার মাওলানা আবদুল মুকিতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। গত ৪ দিন ধরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সহকারী-সুপার মাওলানা জায়েদ আহমদ বলেন, শিক্ষার্থীদের এবার দাখিল পরীক্ষা দিতে না পারার জন্য মাদরাসা সুপার সাহেব দায়ী। এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই।
দোয়ারাবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লা বলেন, মাদরসা সুপার দাখিল পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন না করিয়ে তাদের আবার পরীক্ষার পূর্বে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আমার কাছে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।