সরকার একের পর এক ভুল করছে: ডা. জাফরুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ঈদের আগে গণপরিবহন বন্ধ রাখা ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এতে মানুষের কষ্ট হয়েছে। সরকার একের পর এক ভুল করছে। তাদের ভুলে মানুষ অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করছে। ঈদের সময় নারীরা ঝুলে ঝুলে বাড়ি যায়, এত বড় অন্যায় কোনোদিন হয়নি। এখন সরকারের উচিত হবে ঢাকায় ফেরা প্রত্যেককে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। রোববার ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল নাগরিক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ফিলিস্তিনে নারী, শিশুসহ মানুষ হত্যা, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা চলছে। আমরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। মুসলিম রাষ্ট্রের কেউ কেউ ইহুদিদের নির্মমতায় নীরব। এ সময়ে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো নিজেদের ঝগড়া ভুলে গিয়ে এক হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া যেত।

আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সভাপতি ও বিএনপিন্থী শিক্ষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ কানাডা থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালে ১৬ মে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ফারাক্কা লং মার্চের আগে দেশের কোনো রাজনীতিক বা পরিবেশবিদ ফারাক্কার ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেননি।

জাতিসংঘের সাবেক পানি বিশেষজ্ঞ ড. এস আই খান বলেন, ৫৪টি অভিন্ন নদীর মধ্যে ৫২টিতেই ভারত বাঁধ দিয়েছে। আমাদের একটিই পথ খোলা আছে জনমত তৈরি করে আন্তর্জাতিক চাপ দিয়ে ন্যায্য পানি আদায় করে নেওয়া।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, নদীর পানি পাওয়ার অধিকার আমাদের প্রাকৃতিক অধিকার। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে আমরা পাচ্ছি না।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু হলেও তাদের আচরণ বন্ধুসুলভ নয়।

এতে আরও বক্তব্য দেন, জাতিসংঘের সাবেক অর্থনৈতিক পরিচালক অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন ও সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী ইমাম (নিউইয়র্ক), মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে রিটা রহমান (নিউইয়র্ক), নিউ নেশনের সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034239292144775